সবচেয়ে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে বিশ্বরেকর্ড গড়লো জাপান

|

সাড়ে ১২ কোটি জনসংখ্যার জাপানে বর্তমানে ২৯ দশমিক ১ শতাংশ জনগণের বয়স ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি। যা পৃথিবীর সকল দেশের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ। এছাড়াও পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ১০ জনের মধ্যে এক জনের বয়স ৮০ বছর বা তার থেকেও বেশি। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাপানে পালন করা হয়েছে ‘রেসপেক্ট ফর এইজড ডে’। যার অর্থ প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা নিদর্শন দিবস। এ দিনটিকে উপলক্ষ্য করে প্রবীণদের আশ্চর্যজনক এমন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জাপান সরকার। যেখানে ৬৫ বা তার থেকে বেশি বয়সের জনসংখ্যার অনুপাতে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো জাপান।

বয়স্ক জনগোষ্ঠীর এই পরিসংখ্যানে বর্তমানে জাপানের অনুপাত ২৯ দশমিক ১ শতাংশ। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ইতালি। তাদের অনুপাত ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফিনল্যান্ডে বয়স্ক জনগোষ্ঠী রয়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, পৃথিবীর সর্বনিম্ন জন্মহারের দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। ২০২২ সালে ৮ লাখেরও কম শিশু জন্মেছে এই দেশটিতে। ১৯ শতক থেকে জন্মহারের রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে জাপানে জন্মাহারের সর্বনিম্ন সংখ্যার রেকর্ড হয়েছে এবার।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটির রিসার্চ অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার হার ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এদিকে, বয়স্কদের সংখ্যা এমন হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে জাপান সরকারের। কারণ, জাপানে অনেক প্রবীণ নাগরিক একাই বসবাস করেন। বয়স্কদের স্কেলে তাদের দেয়া হয় চিকিৎসা ও পেনশন ছাড়াও নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা। ফলে তাদের দেখাশোনা ও পরিচর্যা করার পেছনেও বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হয় সরকারকে।

এছাড়াও, প্রবীণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমের ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে। ফলে কৃষিকাজ থেকে শুরু করে নির্মাণকাজ ও কারখানায় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদামত। তাই শ্রমিক ঘাটতির মুখেও পড়তে হচ্ছে জাপানকে।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply