সরকারবিরোধী গুজবের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে ছাত্রলীগের দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে গুজবের জবাব দিতেই দুইদিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে দলটি।
প্রশিক্ষণের পর এসব কর্মীরা উপজেলা পর্যন্ত গুজব রুখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। দলীয় পদে থাকার পরও যে সকল কর্মীরা এর আগে গুজবের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি, তাদেরকে এই প্রশিক্ষণের তালিকায় রাখা হয়নি।
আয়োজক সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করে বলছেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কর্মীরাই ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারে বিএনপি ও জামায়াতের গুজবের জবাব দেবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনীতে ওয়েব টিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ বলেন, ফেসবুক আইডি চেক না করে আমরা কাউকে প্রশিক্ষণ দিবো না। ফেসবুকে কেবল নিজের ছবি বা দলীয় ছবি দেন, কিন্তু কোনো অপপ্রচার বা গুজব নিয়ে জবাব বা রাজনৈতিক তর্ক করেন না; এমন কাউকে প্রশিক্ষণ দেবো না। তারা আমাদের অন্য শাখায় থাকবে।
নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি ও জামায়াতের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত গুজব ছড়ানো হয় বলে এতে জানান বক্তারা।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে গুজব, মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার ৬ গুণ গতিতে ছড়ায়। জবাবে ৫ গুণ প্রচেষ্টায়ও আমরা একধাপ পিছিয়ে থাকি। আমাদের ১০ গুণ চেষ্টা করতে হবে।
১৪ বছর ধরে চলা এমন গুজব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশের উন্নয়নই প্রকৃত জবাব হতে পারে বলে জানান আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার।
প্রশিক্ষণ নেয়া কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরাই বলবো, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি। আজকে আমাদের বিরোধীরাই এই মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করছে।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই কর্মশালায় অংশ নেন ছাত্রলীগের ৭০ জন নেতাকর্মী।
/এমএন
Leave a reply