বিশ্ব থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া তেহরানের বার্ষিক সামরিক কুচকাওয়াজে তিনি এ কথা বলেন। কুচকাওয়াজে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রসহ অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র প্রদর্শন করে দেশটির সামরিক বাহিনী।
এছাড়া, ইসরায়েলের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে, তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে তিনি বলেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা তাদের কখনও ক্ষমা করবে না।
ইরাক-ইরান যুদ্ধের বার্ষিকীতে প্রতিবছরের মতো এবারও তেহরানে সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়। সাত দিনের বার্ষিক এই কুচকাওয়াজে নিজেদের পেশী শক্তি প্রদর্শন করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী। প্রদর্শন করা হয়েছে তাদের ভাণ্ডারের অত্যাধুনিক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, গাইডেড বোমা, টর্পেডো, বিশেষ সামরিক যানসহ নানা যুদ্ধ সরঞ্জাম।
আয়োজনে অংশ নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি সেনাদের উপস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, অন্যদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তারের নীতি কখনোই ইরানের ছিল না। তবে, শত্রুদের মোকাবেলায় সব প্রস্তুতিই আছে তাদের।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি বলেন, এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদেশি সেনাদের উপস্থিতি। তবে, স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীও শত্রু মোকাবেলায় প্রস্তুত। অন্যদের সাথে যুদ্ধ কিংবা আধিপত্য বিস্তারের কোনো নীতি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নেই। আমাদের নীতি হচ্ছে, স্থিতিশীল নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রতিরক্ষার জন্য সামরিকভাবে প্রস্তুত থাকা।
ইসরায়েলের সাথে আরব রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কঠোর সমালোচনা করে রইসি বলেন, এই উদ্যোগ ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। যেসব বিশ্বাসঘাতক পেছনে ছুড়ি মারছে তাদের কখনও মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা ক্ষমা করবে না। এই অঞ্চলের কেউ যদি এককভাবে মনে করে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলে তা সত্যিকার অর্থেই স্বাভাবিক হবে তাহলে সেটি তাদের ভুল ধারণা।
চলমান আজারবাইজান-আর্মেনিয়া ইস্যুতেও কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। বলেন, কারাবাখ সন্দেহাতীতভাবেই আজারবাইজানের ভূমি। তবে অঞ্চলটির আর্মেনিয় বাসিন্দাদের অধিকার রক্ষা করাও জরুরি।
/এমএইচ
Leave a reply