তৃণমূল বিএনপি নিয়ে চিন্তিত নয় বিএনপির নেতাকর্মীরা

|

নূরনবী সরকার:

তৃণমূল বিএনপি নিয়ে চিন্তিত নয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা মনে করছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির বিরুদ্ধে দলটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে সরকার। বিএনপিকে ভাঙা সহজ নয়। অতীতেও এমন বহু নেতা বেঈমানি করেছে। কিন্তু বিএনপি স্বমহিমায় মানুষের কাছে টিকে আছে। এছাড়া, বিশ্লেষকরাও বলছেন, অতীতেও বিএনপিকে ভাঙার এমন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

বর্তমান সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে ১৫ বছর ধরে রাজপথে আন্দোলন করছে বিএনপি। এবার দিলো একদফা দাবি। আর এমন সময়ে দলটির সাবেক দুই নেতা তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েই পেয়ে গেছেন শীর্ষ পদ। গুঞ্জন আছে, আরও অনেক বিএনপি নেতা যোগ দিতে পারেন রাজনৈতিক দলটিতে। এ নিয়ে কী ভাবছে বিএনপি?

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এগুলো ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মানুষের কোনো মাথাব্যথা নেই। আলতু-পালতু বিষয়ে নেতাকর্মীরা কোনো খবরই রাখে না। ওরা শুধু প্রস্তুতি নিচ্ছে, একটা বৃহত্তর আন্দোলন কীভাবে সফল করা যায় তা নিয়ে।

জেল-জুলুম-হুলিয়া মাথায় নিয়ে কখনও আদালত, কখনও রাজপথ, কখনও বা আত্মগোপন— এমন করে ১৫ বছর কাটছে বিএনপির কর্মীদের। তারা বলছেন, বেঈমানি থেকে রাজপথ ভালো। এক তৈমূর গেছে, হাজার-হাজার তৈমূর তো বিএনপিতে তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে দুর্বল করতে এটা একটা রাজনৈতিক গেম, কিন্তু বিএনপিকে দুর্বল করতে পারবে না।

এক-এগারোর সময় সংস্কারপন্থী ধারা বলে একটা বিষয় রাজনীতিতে ছিল। বড় দুটো দল ভাঙার ক্ষেত্রে সেই ধারার নেতাদের ভূমিকা নিন্দনীয় হিসেবেই দেখা হয়। তৃণমূল বিএনপিও কি দিন শেষে কারও হাতিয়ার?

গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগকে ভেঙে অনেক রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়। বিএনপি থেকে বেরিয়েও দল করা হয়। সেই দলগুলোর তো এখন অস্তিত্ব নেই। এই দলও একটু ভূমিকা পালন করে হাস্যরসের জোগান দেবে, আরকি!

এই বিশ্লেষকের মত, দেশের ইতিহাসে বরাবরই ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে কোনঠাসা করতে চেয়েছে। তবে রাজনীতিতে এটি একটি নিন্দনীয় পন্থা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply