ফিরে দেখা বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার উত্থানের ১৯৮৭

|

বিশ্বকাপ হাতে অজি অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাইরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় উপমহাদেশের মাটিতে। আর বিশ্বক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার উত্থানও হয় ১৯৮৭ আসর দিয়ে। সাদামাটা দল নিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল অজিরা। কোর্টনি ওয়ালশের ‘মানকাড’ মহানুভবতা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতনের শুরুটাও যে ওই বিশ্বকাপেই।

১৯৮৭ বিশ্বকাপেও আধিপত্য দেখাতে চেয়েছিল ব্রিটিশরা। তবে বাকি দলগুলোর দ্বিমতের কারণেই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। এই বিশ্বকাপ দিয়েই যেন বদলে গিয়েছে ক্রিকেটের অনেক কিছু। ৬০ ওভারের ওয়ানডে ক্রিকেটে নেমে আসে পঞ্চাশ ওভারে। সেবারই প্রথম নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে পরিচালনা করা হয় ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চেতন শর্মার করা হ্যাটট্রিকটি স্মরণীয় হয়ে থাকে বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক হিসেবে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে কোর্টনি ওয়ালশের মানকাড মহানুভবতা সেবার হৃদয় ছুঁয়েছিল ক্রিকেট সমর্থকদের। নকআউট ম্যাচে উইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১ উইকেট আর পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার যখন মাত্র ২ রান, সুযোগ পেয়েও মানকাড আউট না করে ব্যাটারকে সতর্ক করেন কোর্টনি ওয়ালশ। সেই ম্যাচে হেরে বিদায় নিয়েছিল ক্যারিবীয়রা আর সেখানেই যেন থমকে যায় বিশ্বমঞ্চে ক্যারিবিয়ান দাপট।

১৯৮৭ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও ছিল নানা জটিলতা। অর্থ সংকটে ভুগছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এরপর রিলায়েন্স গ্রুপের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত সেবার আলোর মুখ দেখেছিল বিশ্বকাপ। তাইতো রিলায়েন্স বিশ্বকাপ নামেই হয়েছিল সেবারের আসর।

সমর্থকদের প্রত্যাশা মিটিয়ে দুই আয়োজক দেশ ভারত-পাকিস্তান ঠিকই খেলেছিল বিশ্বকাপের সেমিতে। উপমহাদেশের সমর্থকদের উত্তেজনার পারদটাও ছিল অনেক উপরে, প্রথমবারের মতো ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় ছিল কোটি কোটি সমর্থক। তবে ইংল্যান্ডের কাছে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তান হেরে গিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে দু’দল।

এরপর ইডেন গার্ডেন্সে প্রায় ৯৫ হাজার দর্শকের সামনে ইংলিশদের আটকে দিয়ে ৭ রানের জয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে অজিরা। এই ‘৮৭ বিশ্বকাপ থেকেই শুরু হয় বিশ্বক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার শাসন।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply