বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি। ভোটে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিবে না দেশটি । সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বেশ কয়েকমাস ধরেই বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে তৎপর হতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-কে। বেশ কয়েকদফায় এসেছে প্রতিনিধি দল। এরমাঝে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি, স্যাংশন ইস্যুও রাজনীতি মাঠে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর মাঝেই, ওয়াশিংটনের অবস্থান স্পষ্ট করলো দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিয়মিত বিবৃতিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। মে মাসে যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছিলেন; সেসময়ই অনেক বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনে, কোনো দলের পক্ষ নেয়ার বা স্বার্থ উদ্ধারের অবকাশ নেই। বরং, দেশটিতে অবাধ-সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে, সংবাদকর্মীরা ভিসানীতির আওতায় পড়বেন কিনা এমন প্রশ্ন উঠে আসে ব্রিফিংয়ে। বিষয়টি স্পষ্ট করেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেন, মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো অত্যন্ত গোপনীয়। সে কারণেই, কার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে, সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে, নীতিমালার আওতায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা।
বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে দেয়া বিএনপি’র ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
/এআই
Leave a reply