মহিউদ্দিন মধু:
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত সবার খুনিদের দায়মুক্তি দিতে খন্দকার মোশতাক ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করেছিলেন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। মানবতাবিরোধী এই অধ্যাদেশ দেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়।
‘৭৯ সালের ৯ জুলাই জিয়াউর রহমান ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে কালো আইনটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। এতে সাংবিধানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা সরকার আইনটি বাতিল করে। আর ২০১০ সালে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই আইনটির জন্য ওই সময়কার বিচারক ও আইনজীবীদের বিবেকের দায় দেখেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলছিলেন, এ ধরনের কোনো আইন পৃথিবীর কোথাও থাকতে পারে তা একবিংশ শতাব্দীর কেউ চিন্তাই করতে পারে না। যার মধ্যে ন্যূনতম বিবেক আছে, আইনকে শ্রদ্ধা করেন এবং আইন সম্পর্কে জানেন; তিনি কখনও কোনো অপরাধের বিচার হতে পারে না এমন আইনের পক্ষে হতে পারেন না।
ইতিহাসের নৃশংস হত্যার নেপথ্যে যারা ছিলেন, তাদের বিচার শুরু হতেও অপেক্ষা করতে হয় তিন দশক। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমরা সে সময় খুবই মর্মাহত ছিলাম। আর তা মনে পড়লে আমার মনে হয় যে, আমাদের বিচার বিভাগ কী সঠিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন?
দণ্ডপ্রাপ্তদের কয়েকজন এখনও পলাতক। সবশেষ ২০২০ সালে আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর আগে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে কার্যকর হয় ৫ খুনির ফাঁসি।
/এমএন
Leave a reply