সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে সীমা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার শিকারপুর বাহাদুরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সীমা খাতুন একই উপজেলার রানীগ্রাম ফকিরপাড়া এলাকার আছাদ আলীর মেয়ে। তার স্বামী বাহাদুরপাড়া গ্রামের রতন ওরফে কালু মিয়া।
গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সীমা খাতুনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ সীমা খাতুনের মাথায় কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে সীমা খাতুনসহ সবাই বাড়ি চলে যায়।
এর কয়েকঘণ্টা পরে আবারও সীমা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাজশাহী নেয়ার পথে রাতেই মৃত্যু হয় সীমার।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রুবেল আহমেদ বাদি হয়ে সীমার স্বামী কালুসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত কালুর চাচাতো ভাই মামলার ৪ নম্বর আসামি মো. স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সীমা খাতুনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এসজেড/
Leave a reply