অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত কিউবার নাগরিকরা অর্থের জন্য যোগ দিচ্ছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অংশ নিচ্ছেন ইউক্রেন যুদ্ধে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
লোভনীয় বেতনের পাশপাশি পুরো পরিবারকে রুশ নাগরিকত্ব দেয়ার প্রলোভনও দেখাচ্ছে কথিত নিয়োগকারীরা। অনেকে জেনে আবার অনেকে না জেনেই বেছে নিচ্ছেন এই ঝুঁকিপূর্ণ জীবন।
কিউবার নাগরিক এনরিক গঞ্জালেজ কাজ করতেন ইটভাটায়। গত জুলাইয়ে যোগ দেন রুশ সেনা বাহিনীতে। প্রথম মাসেই স্ত্রীকে পাঠান সাইনিং বোনাসের ২ লাখ রুবল। যা কিউবার স্বাভাবিক বেতনের ১০০ গুণ।
এ প্রসঙ্গে এনরিক গঞ্জালেজের স্ত্রী ইয়ামিদেলি সারভেন্তেস বলেন, যদি অর্থের প্রয়োজন না হতো তবে কেউই সেখানে যেত না। আমার স্বামী ইটভাটায় কাজ করতো। কঠোর পরিশ্রম করে খুব বেশি আয় হতো না। আর তাই সে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। ফলে আমার ঘরে এখন নতুন সেলাই মেশিন। গোটা জীবনে প্রথমবারের মতো কিনেছি নতুন ফ্রিজ আর মোবাইল ফোন।
শুধু বিপুল অর্থই নয়, বিদেশি এই ভাড়াটে সেনাদের গোটা পরিবারকেই রুশ নাগরিকত্ব দেয়ার প্রলোভনও দেখাচ্ছে এজেন্টরা। অর্থনৈতিক সংকটে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যস্ত কিউবানরা। আর এই অভাবের সুযোগকে কাজে লাগানো লাগাচ্ছে রাশিয়া।
গেলো মাসে কিউবান নাগরিকদের রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগে সহায়তার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে দেশটির সরকার। এরপরই ব্যাপক আলোচনায় আসে এই ভাড়াটে সেনা নিয়োগ।
/এআই
Leave a reply