তাসমান পাড়ের দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে আয়োজন করে ২০১৫ বিশ্বকাপ। ১১তম আসরে নিজেদের নতুনভাবে ক্রিকেট বিশ্বকে চিনিয়েছিল টিম বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছোট ছোট পায়ে হাঁটতে থাকা টাইগাররা এই বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের খুঁজে পায় নতুন রুপে।
দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে মাঠের লড়াইয়ে অংশ নেয় ১৪টি দল। গ্রুপ ‘এ’তে দুই স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের মত জায়ান্টদের সঙ্গী হয় বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে টাইগাররা। ৩১৯ রানের পাহাড় টপকে স্কটল্যান্ডকে পরাস্ত করে দ্বিতীয় জয় পায় বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের সবচেয়ে বড় চমক ছিল ইংল্যান্ড বধ। থ্রি লায়ন্সদের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী হয় ভারত। সেই ম্যাচে টাইগাররা হারলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নেয় মাশরাফী-সাকিবরা। প্রথমবার বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নিউজিল্যান্ড। উইন্ডিজের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ২৩৭ রানের অতি মানবীয় এক ইনিংস খেলেন মার্টিন গাপটিল। তবে ফাইনালে ব্লাকক্যাপদের জয়রথ থামিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বসেরার মসনদে বসে অস্ট্রেলিয়া।
৫৪৭ রান করে টুর্নামেন্টের টপ স্কোরার মার্টিন গাপটিল। তবে সেই বিশ্বকাপে ৪টি সেঞ্চুরি করে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকেন লঙ্কান সাঙ্গাকারা। ২২টি করে সমান উইকেট দুই বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক ও ট্রেন্ট বোল্টের। আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৪১৭ রান করে অজিরা।
/এএম
Leave a reply