পাকিস্তানে কিডনি পাচারকারী চক্রের আট সদস্য গ্রেফতার, সহযোগী ছিলেন মোটর মেকানিক

|

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে মানব অঙ্গ পাচারকারী একটি চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বড় ধরনের অভিযানের পর জড়িতদের সন্ধান মেলে। খবর বিবিসির।

শত শত মানুষের কিডনি কেটে পাচার করেছে চক্রটি। দলের প্রধান ফাওয়াদ মুখতার নিজেই করতেন অস্ত্রোপচার। সহযোগী হিসেবে কাজ করতে এক মোটর মেকানিক। এ পর্যন্ত অন্তত ৩২৮টি অবৈধ কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন তারা। অস্ত্রোপচারের সময় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

মূলত পাঞ্জাব ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরে গোপন আস্তানায় চলতো এদের কার্যক্রম। কখনও দরিদ্রদের কাছ থেকে, কখনও অপহরণ করে আনা মানুষের কাছ থেকে নেয়া হতো কিডনি। হাসপাতাল থেকে কৌশলে নিজেদের আস্তানায় নেয়া হতো রোগীদের। বেশির ভাগ সময় রোগী জানতেও পারে না অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতিস্থাপনের বিষয়টি। একেকটি কিডনি বিক্রি হতো ১০ লাখ রুপি পর্যন্ত দামে। এর আগেও পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছেন ফাওয়াদ। প্রতিবারই বের হয়েছেন জামিনে।

২০১০ সালের আইন অনুযায়ী, মানব অঙ্গ নিয়ে বাণিজ্য নিষিদ্ধ পাকিস্তানে। গত জানুয়ারিতে ১৪ বছরের এক নিখোঁজ কিশোরের সন্ধান মেলে একটি গোপন আস্তানায়। জানা যায়, তার কিডনি অপসারণ করা হয়েছিল। এরপর অবৈধ প্রক্রিয়ায় কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সামনে আসে।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply