৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি জিম্বাবুয়ের স্বর্ণখনিতে আটকে পড়া ১০ শ্রমিক

|

জিম্বাবুয়ের স্বর্ণখনিতে দুর্ঘটনার ৪ দিন পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি আটকে পড়া ১০ শ্রমিককে। এখনও ধ্বংস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছেন অন্তত ১০ জন। অত্যাধুনিক সরঞ্জামের সংকট থাকায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ ফুট গভীর খনিটি থেকে তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এদিকে খনি দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ শ্রমিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনএন এর।

গত শুক্রবার দেশটির রাজধানী হারারের পশ্চিমে চেগুতুতে বে হর্স সোনার খনিতে ধসের ঘটনা ঘটে। এতে আটকা পড়েন অন্তত ৪০ শ্রমিক। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও খনিটির ভেতরে আটকা পড়ে আছেন বেশ কয়েকজন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার ৩০০ ফুট গভীর খনিটিতে প্রাচীন পদ্ধতিতে খননকাজ চলছিল। ফলে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা নেই বললেই চলে।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, নিচের পাথর এবং ভিত্তি খুবই দুর্বল। বারবার সেগুলো সরে যাচ্ছে। তাই উদ্ধার কাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে সেখানে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনার দায় পুরোপুরি খনি কর্তৃপক্ষের ওপর চাপাচ্ছে সরকার। এনিয়ে জিম্বাবুয়ের খনি বিষয়ক মন্ত্রী সোডা ঝেমু বলেন, দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে খননকাজ করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের খননকাজের জন্য যে প্রস্তুতি এবং সতর্কতা নেয়া প্রয়োজন, এখানে তা নেয়া হয়নি। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ জিম্বাবুয়েতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার খনি রয়েছে। প্রাচীন পদ্ধতিতে এসব খনি থেকে উত্তোলন করা হয় স্বর্ণসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ। ফলে খনি দুর্ঘটনা অনেকটাই নিয়মিত দেশটিতে। ২০১৯ সালে দেশটিতে একটি খনি ধ্বসে ২৪ জনের মৃত্যু হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply