বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম পরীক্ষায় রসায়নে অকৃতকার্য হয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, পেয়েছিলেন ক্লাসের সবচেয়ে কম নাম্বার। সেই ব্যক্তিই কিনা রসায়নে নোবেল পুরস্কারের গৌরব অর্জন করলেন। বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক মোঙ্গি বাভেন্দির কথা। ২০২৩ সালে অপর দুই রসায়নবিদ লুই ই ব্রুস ও আলেক্সেই একিমোভের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারের জন্য ঘোষিত হয়েছে তার নাম। খবর এএফপির।
ছাত্রজীবনের এই তথ্যটি নিজেই জানিয়েছেন এই নোবেলজয়ী। স্নাতকের ছাত্র হিসেবে তার প্রথম রসায়ন পরীক্ষার বর্ণনা দিয়ে ৬২ বছর বয়সী এই নোবেল জয়ী জানান, ওই পরীক্ষায় আমি ১০০ এর মধ্যে ২০ পেয়েছিলাম। এটি ক্লাসের সর্বনিম্ন গ্রেড ছিল। নম্বর দেখে তখন আমি ভাবছিলাম, হায় হায়! এই বোধহয় আমার শেষ! এ কী করছি আমি?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রের বিশাল আয়তন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতি তাকে ঘাবড়ে দিয়েছিল উল্লেখ করে বাভেন্দি জানান, আমি কখনও পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে অভ্যস্ত ছিলাম না। প্রথম প্রশ্নের দিকে তাকিয়ে কিছু্ বুঝতে পারিনি। দ্বিতীয় প্রশ্নটির দিকে তাকিয়েও দেখি আমি কিছুই পারি না।
তবে দ্রুতই নিজেকে মানিয়ে নিতে শেখেন বাভেন্দি। বলেন, আমি আসলে জানতাম না কীভাবে পড়তে হয়। এরপরের পরীক্ষাগুলোয় আমি ঠিকই ১০০ করেই পেয়েছিলাম।
তরুণদের জন্য তার বার্তা, অধ্যবসায়ী হও। এমনভাবে পিছিয়ে পড়ো না যা তোমাকে ধ্বংস করে দিবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মোঙ্গি বাভেন্দি, লুই ই ব্রুস ও আলেক্সেই একিমোভ। কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য বুধবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস তাদের এ স্বীকৃতি দেন। এই গবেষণাকে মানব জীবনের জন্য বিশেষ উপকারী বলে আখ্যা দেয় নোবেল কমিটি।
বিজয়ীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউটে অধ্যাপনা করেন মোঙ্গি বাভেন্দি। আরেক বিজয়ী লুই ই ব্রুস কাজ করেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। অপরদিকে ন্যানো ক্রিস্টালস টেকনোলজির গবেষক আলেক্সেই একিমোভ। আশির দশকেই কোয়ান্টাম ডট নিয়ে গবেষণায় সাফল্য পান তারা। কোয়ান্টাম ডট মূলত এক ধরনের ন্যানো পার্টিকেল। এগুলো এতই ক্ষুদ্র যে, কোয়ান্টাম ইফেক্টের মাধ্যমে এদের চরিত্র নির্ধারণ করা যায়।
/এমএইচ
Leave a reply