ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে হামাস। তাদের হাত ধরে আবারও আলোচনায় যুদ্ধে ড্রোনের কার্যকারিতা। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধেও ইরানের ড্রোন ব্যবহারে সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই নিজস্ব প্রযুক্তিতে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে আসলেও হঠাৎ হামাসকে কারা এই সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছে তা স্পষ্ট নয়। খবর আল জাজিরার।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে আকস্মিকভাবে ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস। রকেট ছাড়াও একের পর এক ড্রোনও ছুড়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। নির্ভুলভাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে তাদের ড্রোন। ধ্বংস করেছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সমরযানও।
অবশ্য সাম্প্রতিক বিশ্বের বেশ কয়েকটি সংঘাতেই যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে আলোচনায় এসেছে বিভিন্ন সুইসাইড ড্রোন। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘাতেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এই সমরাস্ত্র। অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রের চেয়ে সফলতার হারও তুলনামূলক বেশি।
গত একযুগে ড্রোন প্রযুক্তিতে যেসব দেশ অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ইরান। দেশটির বিধ্বংসী শহিদ ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে রাশিয়া। আরেক আলোচিত যুদ্ধযান তুরস্কের বায়রাক্তার ড্রোন। যা ব্যবহারে সংঘাতের প্রথমদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ সাফল্য পায় কিয়েভ।
অবশ্য হামাসকে কারা এসব আকাশযান সরবরাহ করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এতদিন নিজস্ব প্রযুক্তিতে সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে আসছে সংগঠনটি। রকেট তৈরিতে নিজেদের সফলতা দেখালেও এখন ড্রোন শিল্পেও অগ্রগতির জানান দিচ্ছে তারা।
এছাড়া অবরুদ্ধ থাকলেও সাগরপথে, সুড়ঙ্গ দিয়ে বিভিন্ন সমরাস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে হামাস। ইরান, সিরিয়া ও হিজবুল্লাহ তাদের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। অনেকেরই ধারণা, সরাসরি ড্রোন না দিলেও হামাসকে অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরির প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করছে ইরানের মতো মিত্র দেশগুলো।
সবশেষ ২০২১ সালে নিজেদের তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির শিহাব ড্রোন সামনে আনে হামাস। তারা জানায়, ৩০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম এই সুইসাইড ড্রোন আড়াইশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে।
এসজেড/
Leave a reply