ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আংশিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশে ৮২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে এই রেলপথে বাণিজ্যিকভাবে রেল চলাচল করবে। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে রেলের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। যার ফলে পণ্য আনা-নেয়া সহজ হবে। প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
উদ্বোধন ঘোষণার পর প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট কাটেন শেখ হাসিনা। এরপর পতাকা উড়িয়ে হুইসেল বাজান তিনি, আর ট্রেন ছাড়ে। মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বিশেষ ট্রেনে করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সাথে আছেন তার নাতি-নাতনিরাও।
ফরিদপুরে পৌঁছে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ভাঙ্গায় কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে এই জনসভা হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ৮২ কিলোমিটার অংশ ঢাকা ও ভাঙ্গাকে সংযুক্ত করে আজ খুলে দেয়া হলো। যশোর সংযোগকারী অবশিষ্ট অংশটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছরের জুনে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর দুই মাস পর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। তাতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো।
এই রেলপথে উদ্বোধন করতে গণভবন থেকে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন সরকারপ্রধান। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে মাওয়ায় পৌঁছান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচনের ধুয়া তুলে তারা নির্বাচন চায় না: প্রধানমন্ত্রী
/এমএন
Leave a reply