রাজশাহীতে অপহরণের ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মাহফুজুর হোসেন সজল নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে (১১ অক্টোবর) তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অপরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সজলের বাসা নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায়। অপরদিকে, অভিযুক্ত আরিফুল হক চৌধুরী রিপনের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লায় ভাড়া থাকতেন। সজল ও রিপন দু’জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়। পরে সজলকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর সজলের বাবা মর্তুজা হোসেন থানায় জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা ও ডিবি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান জেনে রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানায়, অপহরণের পরদিন রিপনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে শাহ মখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটিক ট্যাংক থেকে সজলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, এ ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলা করেছেন নিহত সজলের বাবা। তাকে আটকের পর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
/এনকে
Leave a reply