নেতানিয়াহুকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না ইসরায়েলের বেশিরভাগ মানুষ

|

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না ইসরায়েলের ৫৬ শতাংশ মানুষ। নানা অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতায় বহু আগেই দেশের বেশিরভাগ মানুষের আস্থা হারিয়েছেন কট্টর ডানপন্থী এ নেতা।

হামাসের অভিযানের পর যা আরও প্রকট হয়েছে। এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে প্রশাসনের ওপর প্রচণ্ড হতাশ আর ক্ষুব্ধ দেশটির সাধারণ জনগণ।

স্থানীয় অধিবাসী পেনিনা সেলা বলেন, শান্ত থাকার চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। প্রচণ্ড হতাশা আর ক্রোধ কাজ করছে আমার ভেতর। নেতানিয়াহু কী করলো আমাদের জন্য? মিশর তাকে সতর্ক করেছিল যে, হামাস বড় কিছু করতে যাচ্ছে। কিন্তু সে বারবার বলেছে, এসব নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা এসবে ঘাবড়াই না। এখন কী হলো? সবাই দেখছে কী চলছে এখানে।

তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জনমত জরিপ বলছে, দেশের ৫৯ শতাংশ মানুষেরই ভরসা নেই নেতানিয়াহুর ওপর। চরমভাবে ব্যর্থ অভিহিত করে এই সরকারের পদত্যাগ চাইছেন দেশটির বাসিন্দারা।

এ প্রসঙ্গে পেনিনা সেলা বলেন, নেতানিয়াহুর অতি দ্রুত পদত্যাগ করা উচিৎ। সে একজন খুনী, অপরাধী। তাকে না সরালে এ সংকট কাটবে না। নেতানিয়াহু প্রশাসন যে এখনও তাদের গদিতে বহাল তবিয়তে আছে, এ বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে হতাশ করছে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) যুদ্ধ সামাল দিতে জরুরি ঐক্য সরকার গঠন করেছে নেতানিয়াহু। তবে তাতেও আশস্ত করা যাচ্ছে না জনসাধারণকে। কেউ কেউ বলছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতেই এ সরকার গঠনের নাটক করছে নেতানিয়াহু প্রসাশন।

আরেক ইসরায়েলি নাগরিক আদি আভিয়ানি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে দেখছি, জরুরি সরকার কিছু করতে পারছে না। অন্তত আমরা যে ধরনের তৎপরতা দেখতে চাইছি, তা তারা দেখাতে পারছে না। এই সরকার আদতে কিছু করতে পারবে কিনা, তা নিয়েও আমি সন্দিহান। পরে হয়তো দেখতে পাবো, ক্ষমতায় থাকার জন্য নেতানিয়াহুর এটি একটি স্টান্ট ছিল।

অভিনব কায়দায় হামাসের অতর্কিত অভিযানে বেশ চাপে রয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরইমধ্যে দেশের জনসাধারণের এমন দাবি আরও বেশি করে কোণঠাসা করে তুলেছে তাকে।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply