যুদ্ধে ঘরবাড়ি ছেড়ে এক কাপড়ে পালানোর সময়ও প্রিয় পোষা পাখিকে ফেলে আসেনি ফিলিস্তিনি শিশু আজমি দিয়াব। নিয়ে এসেছে শরণার্থী শিবিরে। নিজের থাকা-খাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকলেও পাখির যত্নে কোন কমতি রাখেনি দিয়াব। প্রাণির প্রতি আজমির এমন ভালোবাসা আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবর রয়টার্স
১৩ বছর বয়সী শিশু ‘আজমি দিয়াব’। জীবন বাঁচাতে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে জাতিসংঘের রিফিউজি এজেন্সির একটি স্কুলে। প্রাণ বাঁচাতে খালি পায়ে এক কাপড়ে পালিয়ে আসতে হয়েছে তাকে। ছেড়ে আসতে হয়েছে প্রিয় খেলনা, খেলার মাঠ আর বন্ধুদের।
যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে দিয়াব বলেন, বন্ধু-বান্ধব, পড়ালেখা সবকিছু ছেড়ে এসেছি এখানে। জানি না আর কোনোদিন ফিরে যেতে পারবো কি না। আমার বন্ধুরা বেঁচে আছে কি না তা-ও আমি জানি না। রাতের আধারে যখন খালি পায়ে দৌঁড়াচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিলো ক্যাম্প পর্যন্ত যেতে পারবো না।
দিয়াব আরও বলেন, পাখিটা যখন অনেক ছোট ছিলো তখন আমি ওকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। অনেক আদর-যত্নে বড় করেছি। গোলাগুলি, রকেট-বোমায় যাতে মারা না যায় তাই সাথে করে নিয়ে এসেছি।
জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত শরণার্থী শিবিরগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে আজমির মতো আরও বহু শিশু ও তাদের পরিবার। নিজ দেশে, নিজ ঘরে হামলার আতঙ্ক ছাড়া নিরাপদে ঘুমাতে পারাই যাদের একমাত্র চাওয়া।
/এআই
Leave a reply