গাজায় ফুরিয়ে আসছে পানি, ত্রাণও শেষের পথে

|

গাজা উপত্যকায় ফুরিয়ে আসছে পানি। সুপেয় পানি তো দূরের কথা, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার উপযোগী পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে নোনা পানির উপর ভরসা করতে হচ্ছে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের। অবশ্য দক্ষিণ গাজার কিছু এলাকায় পানি সরবরাহ শুরু করেছে ইসরায়েল। তারপরও তা বাসিন্দার সংখ্যার তুলনায় খুবই সামান্য। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এই পানি সবার কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। খবর সংবাদ সংস্থা এপির।

অবরুদ্ধ গাজায় পানযোগ্য পানি আসে ইসরায়েল থেকে। শুধু পানি নয়, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সবকিছুর জন্যই তেলআবিবের উপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর শুরু হওয়া সংঘাতকে কেন্দ্র করে সব সরবরাহই বন্ধ রেখেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

তাই পানির অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে গাজাবাসী। পুরো অঞ্চলজুড়ে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পানি। সঞ্চয়ে রয়েছে যতটুকু, তার প্রতিটি ফোটা ব্যবহার করতে হচ্ছে হিসেব করে। পানযোগ্য পানির অভাব, তাই লবণাক্ত পানি দিয়েই কোনো রকমে কাজ মেটাচ্ছেন দক্ষিণ গাজার বাসিন্দারা।

এদিকে, এই অঞ্চলে ত্রাণও ফুরিয়ে আসছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ফিলিস্তিনের ইউএনআরডব্লিউএ এর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজায় সুপেয় পানি ও খাদ্যের সঞ্চয় ফুরিয়ে আসছে। এতো মানুষকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য ও পানি দেয়া খুব কঠিন কাজ। তহবিলে যা ছিল তা শেষের পথে। শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে হবে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply