গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে বেবি বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর জিহ্বা কাটার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী বেবি বেগম গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বেবি বেগম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজীবপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে।
গত ৬ বছর আগে বেবি বেগমের সঙ্গে সদর উপজেলার পূর্ব কোমরনই কুঠিপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে রিপন মিয়ার বিয়ে হয়। স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বেবি বেগমকে মারপিট করতেন রিপন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে রিপনকে প্রায় দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু আবারও রিপন মিয়া ৫ লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বেবি বেগমকে।
এরই জেরে গত রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বেবিকে মারপিট করেন রিপন। এর এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধারালো ছুরি দিয়ে তার জিহ্বা কেটে দেন পাষণ্ড স্বামী রিপন। পরে বেবি বেগমকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না পেয়ে বেবি বেগমকে মারধরের পর তার জিহ্বা কেটে দেয় রিপন। বর্তমানে অসহ্য যন্ত্রণায় হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে কাতরাচ্ছেন বেবি বেগম। জিহ্বা কেটে দেয়ায় বেবি এখন খেতে এবং কথা বলতে পারছে না। শুধু ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করছেন তার ওপর ঘটে যাওয়া অমানবিক নির্যাতনের কথা। এ ঘটনায় রিপন মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি স্বজনদের।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নুরজাহান আক্তার বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর বেবি বেগমের কাটা জিহ্বায় ১০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ায় তার অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। তবে সুস্থ হয়ে উঠতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় বেবি বেগমের বোন মঞ্জুআরা বেগম বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে অভিযুক্ত রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply