গাজায় হামাসের কাছে জিম্মিদের সন্ধানে আরেক ধরনের অভিযান চালাচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ ‘ওয়ার রুম’ গঠন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তায়। খবর রয়টার্সের।
যোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র নয়, আছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। বিশাল কক্ষটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ওয়ার রুম’। ইসরায়েলের প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা ১০ দিন ধরে কাজ করছেন এখানে। লক্ষ্য, নিখোঁজ ইসরায়েলিদের অবস্থান শনাক্ত। হামাসের আপলোড করা ভিডিও থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ফেসিয়াল রিকগনিশন বা ভয়েস শনাক্তের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে প্রায় ২শ’ জিম্মির খোঁজ করার।
ওয়ার রুমের প্রধান ক্যারিন নাহোন বলেন, এমন তিনটি কক্ষ রয়েছে আমাদের। এখানে বিভিন্ন বিভাগ আলাদা আলাদা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। ডেটা সায়েন্টিস্টরা আছেন। তদন্তকারীরাও আছেন, যাদের তথ্যবিজ্ঞানী বলা হয়। আমরা চেষ্টা করছি, প্রত্যেক নিখোঁজের অবস্থান শনাক্তের। এখান থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর এখন অনেকটা নির্ভর করছে সরকার। এআই, ফেসিয়াল রিকগনিশন, ভয়েস রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সন্ধান করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য সরবরাহে এখন সরকারের অন্যতম সহযোগী তারা। এরইমধ্যে শতাধিক মানুষের অবস্থান ট্র্যাকে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি এই স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীর। তবে হামাস প্রকাশ করা অনেক ছবি-ভিডিও মুছে ফেলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে।
ক্যারিন নাহোন জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজর রাখছে আমাদের একটি বিভাগ। কোনো একটি ফুটেজের সাথে সার্ভারে থাকা শত শত ফুটেজের মিল খোঁজা হয়। কিন্তু হামাস এখন একের পর এক ভিডিও মুছে ফেলছে।
হেড অব মিডিয়া ইনভেস্টিগেশন গ্রুপের ওমর বিয়েলার বলেন, পরিবারের কেউই যদি না থাকে, তখন শনাক্ত করা কঠিন হয়। কারণ, আগের তথ্য খুব বেশি সংগ্রহ করা যায় না। আমরা শরীরের বিভিন্ন অংশ ধরে খোঁজ করি।
সারা বিশ্বে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য বিখ্যাত ইসরায়েলিদের সবচেয়ে বড় সাফল্য নজরদারি সরঞ্জামে। যা দেশটির অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
/এএম
Leave a reply