গাজায় ইসরায়েলের চালানো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বে। আল আহলি হাসপাতালে দেশটির আগ্রাসনে প্রায় ৫০০ নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ। এমনকি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনও। খবর আরব নিউজের।
এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব স্পষ্টভাবে এই নৃশংস হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনসহ সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই ঘটনার পর প্রতিরোধহীন এসব সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও দৃঢ় অবস্থানে যাওয়া প্রয়োজন।
নিন্দা জানিয়েছে মিসরও। এক বিবৃতিতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, হাসপাতালে এই হামলার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি। এটি স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনে বর্বরতার শিকার মানুষগুলোর কাছে সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
কঠোর নিন্দা জানিয়ে কুয়েতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এ হামলার ফলে শত শত মানুষের প্রাণ গেছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
শুরু থেকেই এই সংঘাতে ইসরায়েলকে ঢালাও সমর্থন ও তেলআবিবের পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো ফ্রান্সও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এক্স এ (পূর্বের টুইটার) তিনি লেখেন, হাসপাতালে আক্রমণ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, সাধারণ মানুষকে হত্যা সমর্থনযোগ্য নয় কোনোভাবেই। তাই অনতিবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়াও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান, সিরিয়া, জর্ডান, জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্র।
যদিও এ ঘটনার কোনো দায়ভারই নিতে নারাজ ইসরায়েল। দেশটির প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইসরায়েল নয়, হামাসের রকেট লক্ষ্যচ্যুত হয়ে আঘাত হেনেছে হাসপাতালে।
এসজেড/
Leave a reply