বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে উইল ইয়াং, টম লাথাম ও গ্লেন ফিলিপসের ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। এক পর্যায়ে ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল কিউইরা। তবে অধিনায়ক লাথাম ও ফিলিপসের ১৪৪ রানের জুটিতে আফগানদের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ২৮৯।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং উদ্বোধনী জুটি বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। দলীয় ৩০ রানে কনওয়ের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। মুজিব উর রহমানের স্পিন ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ২০ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটার।
তিন নম্বরে নামা রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেন ইয়াং। তারা দু’জন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। যেখানে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াং। রাচিনের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের গুড লেন্থের বল লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩২ রান করা রবীন্দ্র। ফিফটির পর ফেরেন ইয়াংও। ওমরজাইয়ের একই ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথে হাটেন ৫৪ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার।
ক্রিজে এসে দ্রুত বিদায় নেন ড্যারিল মিচেল। রশিদ খানের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আউট প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। দলীয় ১০৯-১১০ রানের মধ্যে কিউইদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে দ্রুত অলআউট করার আভাস দিয়েছিল আফগান বোলাররা। কিন্তু, অধিনায়ক ল্যাথাম ও ফিলিপস মিলে সেই আশায় জল ঢেলে দেন। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ফিফটি পূর্ণ করার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন ফিলিপস। ৮০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৭১ রানের ইনিংস খেলেন ডানহাতি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ল্যাথাম। ৬৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন কিউই অধিনায়ক। ৪৮ তম ওভারে নাভিনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফিলিপস ও লাথাম।
শেষদিকে চ্যাপম্যান ১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললে ২৮৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট শিকার করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও নাভিন উল হক। একটি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান।
/আরআইএম
Leave a reply