চলমান হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে শুরু থেকেই এক রকম নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে আরব বিশ্ব। ইসরায়েলের পক্ষে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্বিমা দেশগুলো ব্যাপক তৎপর সেখানে গাজায় নিরীহ মানুষগুলোকে ইসরায়েল পাখির মতো হত্যা করলেও দায়সারা উদ্বেগ আর নিন্দা জানিয়ে নিরব আরব বিশ্ব। সবশেষ গাজার আল আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পরও মুসলিম নেতাদের নীরব ভূমিকায় উঠেছে প্রশ্ন, কবে ফিলিস্তিনের পক্ষে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে আরব দেশগুলো? খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোকে কঠোর অবস্থান নেয়ার দাবি দিনদিন জোরালো হচ্ছে। অনেক দেশেই সরকারপ্রধানদের আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ জনগণ। বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভও হচ্ছে। সাধারণ জনগণ বলছে, আরবদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এখনই।
সংঘাতের শুরু থেকে একমাত্র ইরান তেলআবিবকে হুমকি-হুঙ্কার দিলেও বাকিরা সাদামাটা বিবৃতি দিয়েই দায় সারছে। তবে এখন জর্ডান, সৌদির আরব, মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর প্রশ্নবিদ্ধ আচরণে ক্ষুব্ধ আরব বিশ্বের সাধারণ জনগণও। ফলে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ-অসন্তোষ। কঠোর সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন সরকার প্রধানরা। খোদ ফিলিস্তিনেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রতিবাদের কারণে জর্ডানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক বাতিল করেছেন আরব নেতারা।
ক্ষুব্দ ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা ঢালাওভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দিলেও, আরবরা অদৃশ্য কোনো বাধায় ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে পারছে না। সেই বাধা অতিক্রম করে যত দ্রুত সম্ভব আবর বিশ্বকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জনগণের।
এসজেড/
Leave a reply