বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়ায় বাড়িতে ঢুকে নারীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে তার হাতুড়ির আঘাতেই প্রাণ যায় গৃহবধূ তাসলিমা আকতারের।
এ ঘটনায় জড়িত শাকিব উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন তাসলিমা, এ সময় গুরুতর আহত হয় তার তিন বছর বয়সী শিশুপুত্র কাজিম আলীও।
শনিবার দুপুরে কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, তাসলিমার বাবার বাড়ি এলাকার অটোরিকশা চালক শাকিব উদ্দিনের অটো রাস্তায় নষ্ট হয়ে গেলে সে, ওই পথে থাকা প্রতিবেশী চাচাতো বোন তাসলিমার বাসায় যায়। সেখান থেকে একটি হাতুড়ি নিয়ে অটোরিকশাটি সারিয়ে হাতুড়ি ফেরত দিতে যায়। পরে বাসায় বসে নাস্তা করতে করতে করতে তাসলিমার সাথে কথা বলছিলো শাকিব। এ সময় তাসলিমা তার স্বামীর কাছ থেকে ধার নেয়া ১০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দেয় শাকিবকে।
এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাকিব পাশে থাকা হাতুড়ি দিয়ে তাসলিমাকে আঘাত করতে গেলে শাকিবের পেছনে থাকা তাসলিমার শিশুপুত্রকে সজোরে আঘাত লাগে। এ সময় সন্তানকে রক্তাক্ত দেখে তাসলিমা উত্তেজিত হয়ে শাকিবকে কিল-ঘুষি মারতে থাকলে শাকিব হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় ৪-৫টি আঘাত করে। এতে বারান্দায় লুটিয়ে পড়ে সেখানেই প্রাণ হারান তাসলিমা।
হত্যাকাণ্ডের পর আহত শিশুপুত্র কাজিম আলীকে তাসলিমার মাথার কাছে বসিয়ে রেখে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে শাকিব।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যার পর শাকিব তাসলিমার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে যায়। আটকের সময় অটোরিকশাসহ লুট হওয়া জিনিসগুলোও উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে খুনী শাকিব। বিকেলে আদালতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার কথাও রয়েছে।
এএস/এটিএম
Leave a reply