স্টাফ করেসপনডেন্ট, গাজীপুর:
বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কখনও মেনে নেয়নি, বাংলাদেশের উন্নয়ন মেনে নেয়নি, বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় জিম্মি করে তাদের ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দিপু মনি বলেন, যারা একাত্তরের হত্যাকারী, পচাত্তরের হত্যাকারী, ২১ আগস্টের হত্যাকারী, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের এক ভয়ঙ্কর জনপদ গড়ে তুলেছিল, তারা আজকে মানবাধিকার-গণতন্ত্র ও নানান প্রকার কথা বলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা আজ নানান প্রকার সমাবেশ ডাকছে। তাদের অতীতের সমাবেশগুলো প্রমাণ করে তারা সহিংসতা ছাড়া আর কিছু জানে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামতে হবে? দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বিএনপি সংবিধান ধ্বংস করেছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছিল। আমরা জনণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাও নষ্ট করেছে বিএনপি-জামায়াত। আদালতের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সংবিধান মানে না। ক্ষমতায় যতক্ষণ না বসিয়ে দেয়া হবে ততোক্ষণ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সার-কিটনাশকের জন্য জীবন দিতে হয়। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়, বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যায়। বোমা হামলা হয়। দেশের ক্ষতি হয়। মানুষের জান-মালের ক্ষতি হয়। তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে অপশক্তি যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এছাড়া এ সময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি।
এএস/এটিএম
Leave a reply