জিম্মিদের মুক্তিতে ব্যর্থতা, ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্রমেই বাড়ছে জনরোষ

|

গাজায় ধ্বংসাত্মক অভিযান চালালেও এখনও হামাসের হাতে জিম্মিদের নাগাল পায়নি ইসরায়েল। এর জেরে নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্রমেই জনরোষ বাড়ছে। হামাসের প্রকাশিত একাধিক ভিডিওতেও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দাগতে দেখা গেছে আটকদের। জিম্মিদের মুক্ত করতে সরকারের দৃশমান কোনো উদ্যোগ না থাকায় চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ ইসরায়েলিরা। তাদের অভিযোগ, জিম্মিদের বলি দিচ্ছে নেতানিয়াহু সরকার। খবর আল জাজিরার।

এরই মধ্যে জিম্মি এক নারীর ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে হামাস। সেখানে ওই নারীকে নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে। ভিডিও বার্তায় ওই নারী বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ২৩ দিন ধরে আমরা হামাসের কাছে বন্দি। আপনার রাজনৈতিক, নিরাপত্তা আর সামরিক ব্যর্থতার ভুক্তভোগী আমরা। আমাদের মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন আপনি। সবাইকে হত্যা করছেন, সেটা কি যথেষ্ট না? আমাদের যত দ্রুত সম্ভব মুক্ত করুন। ফিলিস্তিনি বন্দি এবং নাগরিকদের অবিলম্বে মুক্তি দিন।

দুই শতাধিক জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতে ব্যর্থতার জেরে চাপের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি ক্রমশ জোরালো হলেও, তা নিয়ে দৃশ্যমান কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা নেই। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝেও। তাদের দাবি, গাজায় চলমান অভিযানে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। বরং রাজনৈতিক কূটকৌশলের বলি হচ্ছে তারা।

সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ইসরায়েলি বলেন, এই সংঘাতের মধ্যেও দেশে থাকার কারণ হলো, আমাদের দেশের ওপর বিশ্বাস ছিল। ভেবেছিলাম জিম্মিদের মুক্ত করতে যা কিছু করা সম্ভব তা করা হবে। আমাদের প্রথম এবং একমাত্র দাবি, হামাসের কাছে থাকা আটকদের ফেরত আনতে হবে। যুদ্ধ নয়, সাধারণ মানুষকে মুক্ত করাকেই দিতে হবে অগ্রাধিকার।

এদিকে, জিম্মিদের একের পর এক ভিডিও প্রকাশকে ‘সাইকোলজিক্যাল প্রোপাগ্যান্ডা’ বলে আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহু প্রশাসন বলছে, ইসরায়েলের সর্বাত্মক অভিযানকে দুর্বল করতেই হামাসের এই অপকৌশল। যেকোনো মূল্যে তাদের দেশে ফেরত আনার দৃঢ় বার্তাও দিয়েছে সরকার।

নেতানিয়াহু বলেন, জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে যা কিছু করা সম্ভব তা করা হবে। এটা অভিযানের অবিচ্ছেদ্য লক্ষ্য। এই বিষয়টিতে কি পরিমাণে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে তা মানুষ বুঝতে পারছে কিনা আমার জানা নেই।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেদিন ইসরায়েলসহ অন্যান্য দেশের দুই শতাধিক নাগরিককে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply