গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে প্রাণ হারাচ্ছে এক শিশু। ইসরায়েলি হামলায় আহত প্রতি তিনজনের মধ্যে রয়েছে একটি শিশু। এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদুলুর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
সেভ দ্য চিলড্রেনের জরিপ বলছে, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে মারাত্মক ঝুঁকিতে ইনকিউবেটরে থাকা ১৩০ শিশুর জীবন। এদিকে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউনিসেফ বলছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকায় প্রতিদিন হতাহতের শিকার গড়ে ৪২০ শিশু। পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ শিশুর।
এরই মধ্যে আশ্রয় শিবিরগুলোতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, পরিচ্ছন্নতার অভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পে রোগবালাই ছড়াচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে ছোঁয়াচে রোগও। গাজায় তীব্র মানবিক সংকটে বিপর্যয় ঘটেছে স্বাস্থ্যব্যবস্থায়। অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অপারেশন করা হচ্ছে সেখানে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলের আলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে সেখানে।
এদিকে, চলমান যুদ্ধের নিমর্মতার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে গাজার নবজাতকরা। ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে নিজেরা অভুক্ত বা আধপেটা থেকে কোনোরকমে দিন কাটাচ্ছেন গাজার মায়েরা। সে কারণে সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত দুধ নিশ্চিত করতে পারছেন না তারা। এছাড়া, পানির অভাবে শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে বাবা-মাকে।
যুদ্ধের কারণে জন্মের পরই বাবা-মাকে হারিয়েছে অনেক শিশু। কারও জন্ম হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই আবার কেউ হয়েছে গুরুতর আহত। যে কারণে তাদেরকে রাখতে হচ্ছে ইনকিউবেটরে। তবে, জ্বালানি আর বিদ্যুৎ সংকটে বেশিরভাগ হাসপাতালেই প্রায় অচল বিদ্যুৎ চালিত এ যন্ত্র।
এসজেড/
Leave a reply