হরতাল-অবরোধের প্রভাবে থমকে গেছে জনজীবন, দ্রুতই সমাধান চান সাধারণ মানুষ

|

রাজধানীর সদা ব্যস্ত বাস কাউন্টারগুলো এখন জনমানব শূন্য।

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দু’দলের সমঝোতা চায় সাধারণ মানুষ। অস্থিরতা-অসহিষ্ণুতা শান্তি বয়ে আনবে না বলে মনে করেন তারা। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরতে চান সকলে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জানমালের ক্ষতি চান না তারা। রাজনৈতিক দলগুলো দিন শেষে ভোটের হিসেব নয়, মানুষের ভালো থাকার আলোচনা করবে বলে প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

কাতার প্রবাসী মাজেদ মিয়ার ফ্লাইট শিডিউল মঙ্গলবার বিকেলে হলেও অবরোধ আতঙ্কে সোমবার সন্ধ্যায়ই তিনি চলে যান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ফ্লাইট মিস হওয়ার ভয় আর অবরোধে বিপদে পড়া এড়াতেই এ উদ্যোগ। মাজেদ মিয়ার মতো এমন হাজারো যাত্রী ফ্লাইটের অনেক আগে থেকেই অপেক্ষা করছেন বিমানবন্দরে। কতটা ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ, এটি তারই প্রতিচ্ছবি।

রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অবশ্য যাত্রীর খুব একটা দেখা নেই। দূরপাল্লার গন্তব্যে বাস ছেড়েছে হাতে গোনা। এর প্রভাব পড়ছে জীবন জীবিকায়ও। বাস কাউন্টারগুলো থেকে বলা হচ্ছে, কোনো যাত্রীই আসছেন না। ফলে যাত্রীর অভাবে দূরপাল্লার তেমন কোনো বাসই ছাড়া যাচ্ছে না।

দিনের আয়ে যাদের সংসার চলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের বেচা-বিক্রিও কম হচ্ছে, তাই কপালে চিন্তার ভাঁজ। তারা বলছেন, অবরোধে আতঙ্কে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। মানুষের চলাচল কম হওয়ায় বেচা বিক্রিতেও ধস নেমেছে।

অবরোধের মধ্যেও অফিস খোলা থাকায় ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়েই যাতায়াত করছেন কর্মজীবী সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে জনমনে। সদরঘাট থেকে দিনের বেলা লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যাও কম ছিল, যাত্রী সংখ্যাও তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। যাত্রী সংকটে ক্ষতির মুখে পড়েছেন লঞ্চ মালিকরা।

এদিকে, অবরোধের প্রভাব দেখা যাচ্ছে শিক্ষাঙ্গনেও। অবরোধে ক্লাস-পরীক্ষা কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে জন দুর্ভোগে নতুন করে যোগ হয়েছে হঠাৎ সহিংস হয়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এতে সবদিক থেকেই বিপাকে সাধারণ মানুষ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply