ডাচদের উড়িয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো আফগানিস্তান

|

বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এ জয়ে প্রথমবারের সেমিফাইনাল খেলা পথে আরেকটু এগিয়ে গেলো হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার পর শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ডাচদের উড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে উঠে এসেছে আফগানিস্তান।

তবে সমান চার জয় নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের ৩ নম্বরে অস্ট্রেলিয়া ও চার নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।

শুক্রবার ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডাচ কোচ স্কট এডওয়ার্স। তবে তার প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্তের মূল্য দিতে পারেননি ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই আফগান স্পিনার মুজিবের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন ডাচ ওপেনার বারেসি। ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।

এরপর আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড ও তিন নম্বরে নামা ব্যাটার অ্যাকারম্যান জুটি দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ডাচদের। তবে ৭০ রানের এই জুটি ভাঙ্গে ও’ডাউডের রানআউটের মাধ্যমে। এর পরই যেন ডাচদের রানআউটের ভুত তাড়া করে! একে একে রানআউটে কাটা পড়েন অ্যাকারম্যান ও অধিনায়ক এডওয়ার্স। ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস শিবিরে পরের আঘাতটি করেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ডি লিড। ৯৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা নেদারল্যান্ডসকে পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে দেয়নি আফগান বোলাররা।

শেষ পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৩ ওভারে মাত্র ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এই ইনিংসে চার ডাচ ব্যাটার রানআউট হয়েছেন। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী ৯ দশমিক ৩ ওভারে মাত্র ২৮ রানের খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন। নুর আহমদ নিয়েছেন দুই উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন নবী।

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৭ রানে ভ্যান বিকের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ফেরার আগে তিনি করেন ১০ রান। মারউইয়ের বলে আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান যখন ফেরেন তখন আফগানদের রান ৫৫। এতে ডাচরা কিছুটা ম্যাচে ফিরলেও অভিজ্ঞ রহমত শাহ এবং অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদির ৭৪ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসে আফগানরা।

রহমত শাহ ব্যক্তিগত ৫২ রানে ফিরে যান। তার ৫৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চারে। শেষদিকে অধিনায়ক শাহিদি, আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। অধিনায়কও নিজের অর্ধশতক তুলে নেন। তিনি ৬৪ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসটি খেলার পথে তিনি ৬টি চার মারেন। ওমরজাই ২৮ বলে তিনটি চারের বাউন্ডারি মেরে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

আফগানিস্তানের পরের দুই ম্যাচ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তাই বলা যায়, তাদের জন্য সেমিফাইনালে খেলা বেশ কঠিনই।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply