‘সাইলেন্ট স্নাইপার’ শ্রেয়াস

|

ফাইল ছবি

ব্যাটে-বলে কিংবা ফিল্ডিংয়ে, এবারের বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য এক দলের নাম ভারত। মাঠের ক্রিকেটে স্বাগতিক ভারত নিজেদেরকে নিয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এখন পর্যন্ত আসরের একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত-কোহলিরা। তবে মাঠের বাইরেও এবারে আলোচনায় ভারতের ড্রেসিং রুমে আয়োজিত ভিন্নধর্মী মেডেল প্রদান অনুষ্ঠান।

প্রতি ম্যাচ শেষে দলের সেরা ফিল্ডারকে বেছে নেন টি দিলীপ। দলের ফিল্ডিং কোচ প্রতিবার নাম ঘোষণা করার সময় বেছে নেন অভিনব উপায়। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরেও অন্যথা হয়নি তার।

বৃহস্পতিবার সেরা ফিল্ডারের নাম ঘোষণা করানো হয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে দিয়ে। যদিও তিনি সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না ভারতীয় ড্রেসিংরুমে।

শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ভারত মাত্র ১৯ ওভার ৪ বল ফিল্ডিং করেছে। তার মধ্যেই লঙ্কানদের ১০ উইকেট তুলে নেন শামি-সিরাজরা। যার মধ্যে ৬টি ছিল ক্যাচ। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ প্রথমে তিন জনকে বেছে নেন সেরা ফিল্ডার হওয়ার দাবিদার হিসেবে। সেই তালিকায় ছিলেন লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা এবং শ্রেয়াস আইয়ার।

এর পরেই দিলীপ জানান, একজন কিংবদন্তি ঘোষণা করবেন সেরা ফিল্ডারের নাম। ড্রেসিংরুমের টিভিতে তখনই দেখা যায় ভারতীয় ক্রিকেট গড শচীনকে। শচীনের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতেই ছিল ভারতের ঐ ম্যাচ। সেই ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের নাম ঘোষণা করার আগে শচীন কথা বলেন ক্রিকেটে ফিল্ডিংয়ের মাহাত্ম নিয়ে।

শচীনের মতে, একজন ক্রিকেটারের দায়বদ্ধতা বোঝা যায় তার ফিল্ডিং দেখেই। শচীন বলেন সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ২০০৩ বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে কাগজে সই করে মাঠে নামতেন তারা, যেখানে লেখা থাকতো আমি পারবো, আমরা পারবো।

এরপরই শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সেরা ফিল্ডার হিসেবে শ্রেয়াশ আইয়ারের নাম ঘোষণা করেন শচীন। নেচে ওঠেন শ্রেয়াস, মেডেল পরিয়ে দেন রাহুল। এরপর শ্রেয়াসকে ‘সাইলেন্ট স্নাইপার’ বলে আখ্যায়িত করেন দিলীপ।

ভারতের ফিল্ডিং কোচ বলেন, মাঠে খুব বেশি আওয়াজ করে না আইয়ার। কিন্তু চুপচাপ নিজের কাজটা করে দেয়।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply