অবরোধের প্রভাব শিক্ষাঙ্গনেও

|

রাজধানীর স্কুলে-স্কুলে এখন চলছে বার্ষিক পরীক্ষা ও শেষ সময়ের ক্লাস। একই সাথে নতুন সিলেবাসের অধীনে পরীক্ষার বদলে বার্ষিক মূল্যায়নও চলছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষায় উপস্থিতি শতভাগ হলেও অবরোধের কারণে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। শিক্ষক-অভিভাবক, শিক্ষা গবেষক এমনকি খোদ শিক্ষামন্ত্রীও বলছেন, এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি শিক্ষাবান্ধব নয়।

দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবারও দেশে হরতাল ও অবরোধ দেয়া হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর দেশের রাজনীতিতে সহিংসতা দেখা গেছে। একের পর এক গণপরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

অবরোধের দিন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেলেও পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এ নিয়ে ইউল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। আমরা পরীক্ষা শুরু করেছি কিন্তু শেষ করতে পারবো কিনা, এ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ এ পরিস্থিতিতে কখন কী হয়, বলা মুশকিল।

নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশের কালচার। তাই শিক্ষা ব্যবস্থাকে এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক মোহাম্মাদ মজিবুর রহমান বলেন, বাবা-মায়েরা বাধ্য হয়েই অবরোধের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন। তবে এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার কোনো পরিবেশ নেই। তাই শিক্ষার্থীদের বহনকারী যানবাহনগুলো যদি হরতালের আওতার বাইরে থাকে, তাহলে অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি কাজ করবে।

নির্বাচন ঘিরে আগামী কয়েক মাস পরিস্থিতি আরও উতপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে এরই মধ্যে। তাই শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দায়িত্বশীল কোনো রাজনৈতিক দল হলে এই সময়ে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতো না। এসব কার্যক্রম জনবিরোধী। তবে বার্ষিক পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম মোটামুটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অবশ্য এমন অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে শঙ্কায় আছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply