সেমিফাইনালের রেস থেকে ইংল্যান্ড ছিটকে গেছে বেশ আগেই। টসের পর পাকিস্তানেরও সম্ভবানা শূন্যের ঘরে চলে যায়। এমন ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকস, জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩৩৮ রান।
শনিবার (১১ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ইংলিশরা। দুই ওপেনার ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টোর উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮২ রান। তবে পাকিস্তানের হয়ে সেই ঝড়টা থামান ইফতেখার আহমেদ। এই স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ৩১ রান করে ফেরেন মালান। অবশ্য এরপরই চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেয়ারস্টো। তবে ৫৯ রান করা এই ব্যাটার হারিস রউফের বলে কভারে শট খেলতে গিয়ে আঘা সালমানের হাঁতে ধরা পরেন।
বেয়ারস্টো ফিরে গেলেও তাতে অবশ্য চাপ কমেনি বরং শাহীন শাহ আফ্রিদি, রউফদের উপর চড়াও হন জো রুট ও বেন স্টোকস। এই দুজনের ব্যাটেই দুশ রান পার করে ইংলিশরা। তৃতীয় উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও বেন স্টোকস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান স্টোকস এবারও ছিলেন একই পথে। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির রিভার্স সুইং করা ইয়র্কারে স্টাম্প হারাতে হয় তাকে। ৭৬ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
এই জুটি ভাঙার কিছুক্ষণ পর রুটও ফেরেন ৬০ রান করে। এই ডানহাতি ব্যাটারকে স্লোয়ার ডেলিভারিতে ক্যাঁচের ফাঁদে ফেলেন আফ্রিদি। ইংল্যান্ড অবশ্য তিনশ পার করে অধিনায়ক জস বাটলার (২৭) ও হ্যারি ব্রুকের (৩০) ব্যাটে করে। দুই মিডল ব্যাটারের ঝড়ো গতিতে ব্যাটিং করা শুরু করেন। মাত্র ২৬ বলেই এই জুটি তুলে ৪৫ রান। অবশ্য চার বলের ব্যবধানেই ফেরেন এই দুই ব্যাটার। ইংলিশদের হয়ে শেষ কাজটা করেন ডেবিড উইলি। তার মাত্র ৫ বলে ১৫ রানে ভর করেই ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হারিস রউফ। তবে ১০ ওভারে ৬৪ রান খরচ করে এদিন লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখাতে হয় তাকে। চলতি আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৬ উইকেট পাওয়ার পেছনে ৫৩৩ রান দেন তিনি। তাতে বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে খরুচে বোলারের নামটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নিজের করে নেন ডানহাতি এই পেসারের। ছাড়িয়ে যান ২০১৯ বিশ্বকাপে বল হাতে ৫২৬ রান দেয়া ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদকে।
/আরআইএম
Leave a reply