ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ভারতের সীমান্তরক্ষী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী এতে বাধাঁ দিলে বিএসএফ অতর্কিতভাবে তাদের উপর গুলি ছুঁড়ে ও বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে চার বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এসময় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা খালেক মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। শনিবার সকালে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ এর পতাকা বৈঠকের পরে বৃদ্ধ খালেক মিয়াকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নে মাদলা সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলো উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের শাজাহান (৫৮), রাসেল (২২), নান্নু (৫০), ফারুক (২২) সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ওইদিন সন্ধ্যায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শাহজাহান ও ফারুকের অবস্থা অবনতি হলে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গ্রামে গরু চরাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। এসময় ভারতের একজন বিএসএফ জওয়ান বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে ঢুকে গরুটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী বাধাঁ দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিএসএফ জওয়ান তার ক্যাম্পে গিয়ে খবর দিলে আরো ২০/২৫ জন বিএসএফ জওয়ান বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত ৪’শ মিটার ভিতরে ঢুকে মাদলা এলাকায় হামলা চালায়। এসময় তারা টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে চার জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রনব কান্তি দেবনাথ জানান, গুলিবিদ্ধদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া জানান, অতর্কিত এই হামলায় ৪জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সীমান্তের মাদলা গ্রামের গোপিনগরে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের পরে বিএসএফ খালেক মিয়াকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম জানান এ বিষয়ে ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। সীমান্তে বিজিবির সৈন্য বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই ব্যাপারে ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ল্যাফটেন্ট কর্ণেল জাহিদুর রহমানের নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
Leave a reply