ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে নতুন সমরাস্ত্র ব্যবহার করছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির দাবি, চলমান যুদ্ধের মধ্যেই তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে বুরকান নামের স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এরইমধ্যে, ইসরায়েলে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সফলতা পাওয়ারও দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। স্বল্পপাল্লার হলেও এটি উচ্চ বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। তাই চালাতে পারে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। খবর এনডিটিভির।
ইসরায়েলের মতো সামরিক শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র। তাই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ একদিকে যেমন হামলা চালাচ্ছে, তেমনি ভাণ্ডারে যুক্ত করছে নিত্যনতুন সমরযান। যুদ্ধের মধ্যেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র।
মূলত আরবি শব্দ ‘বুরকান’ অর্থ আগ্নেয়গিরি। এই মিসাইলের রয়েছে উচ্চ বিস্ফোরক ধারণ ক্ষমতা। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর দাবি, সর্বোচ্চ ৫০০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, ইসরায়েলে হামলায় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ্যাটাক ড্রোন ব্যবহার করেছি আমরা। এছাড়া আরও উন্নত একটি মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়েছি, যা অল্প কিছুদিন আগেই আমাদের ভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে। এর নাম দিয়েছি বুরকান। এটি ৩০০-৫০০ কিলোগ্রাম অর্থাৎ হাফ টন বিস্ফোরক বহন করতে পারে।
হিজবুল্লাহর দাবি, ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আয়রন ডোম ভেদ করার সক্ষমতা দেখিয়েছে তাদের বুরকান মিসাইল। এছাড়া লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে এটি। যদিও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে আর খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করেনি তারা।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত বুরকান-টু মিসাইলের সাথে হিজবুল্লাহর এই ক্ষেপণাস্ত্রের নামে মিল থাকলেও দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা সমরাস্ত্র। হুতিদের বুরকান-টু মধ্যম পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল, যেটি ১ হাজার থেকে ১৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করতে সক্ষম। অন্যদিকে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর দাবি, হিজবুল্লাহর বুরকান স্বল্পপাল্লার মিসাইল। তবে স্বল্পপাল্লার হলেও এটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।
বলা হচ্ছে, ইরানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো হয়েছে বুরকান। ইরানি রকেট ফালাক টুয়ের সাথে এর সাদৃশ্য রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। ইরানের সামরিক বাহিনীর সহায়তায়ই এটি বানিয়েছে হিজবুল্লাহ এমনটিও অভিযোগ করছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এসজেড/
Leave a reply