সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবরোধ কিংবা হরতালের ফলে উৎপাদনও থমকে যাচ্ছে। সেই সাথে টানা অবরোধের কারণে পণ্য আনা-নেয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, অন্যদিকে শিল্প উৎপাদনও কমছে। বিশেষ করে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ভাবমূর্তি সংকটে পড়ছে বাংলাদেশ।
এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য (বিবিএস) অস্বস্তি বাড়িয়েছে। বিবিএস বলছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১২ ভাগেরও বেশি। অর্থাৎ খাদ্যপণ্য কিনতে শতকরা ১২ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে।
এনিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, হরতাল এবং অবরোধ স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। পণ্য সরবরাহে বাধার সৃষ্টি হলে তার প্রভাব এসে পড়বে পণ্যের দামে। আর দিন শেষে এসব কারণেই মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ভাগ। তবে ৬ শতাংশের আশেপাশে প্রক্ষেপণ দিয়েছে ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি। বলা হচ্ছে, অস্থিরতা দীর্ঘস্থায়ী হলে উৎপাদন ব্যহ্ত হবে, কর্মসংস্থানও কমে যাবে।
ডিসিসিআই সভাপতির মতে, চলতি বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। এর ওপর হরতাল-অবরোধ হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমাই স্বাভাবিক।
বৈশ্বিক নানান সংকটে দেশের ভাবমূর্তী তুলে ধরতে কাজ করছে বাংলাদেশ। তবে সহিংসতা বাড়লে ইমেজ সংকট তৈরি হবে উল্লেখ করে সামীর সাত্তার বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে এরই মধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তবে তারা যদি দেখে, এখানে হরতাল-অবরোধ দিয়েই দিন কেটে যায়, তাহলে কেউ আর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না।
রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতিকে শ্লথ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এসজেড/
Leave a reply