বেনাপোল স্থলবন্দরে ৪ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২শ’ ৪০ কোটি টাকা

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, বেনাপোল:

একসময় মোটর পার্টস, ফেব্রিকস, আয়রন, স্টিল ও মোটরগাড়ির আমদানিতে মুখর থাকতো বেনাপোল স্থলবন্দর। কিন্তু এখন এসব পণ্যের আমদানিকারকদের তেমন আনাগোনা নেই। কমেছে এসব পণ্যের আমদানিও।

আমদানিকারকদের অভিযোগ, ডকুমেন্টস ঠিকমতো সাবমিট করছেন তারা। কিন্তু পণ্যের এইচএস কোড ও ভ্যালু নিয়ে হরহামেশাই জটিলতা তৈরি করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মাছ, ফলমূলের মতো উচ্চ পচনশীল পণ্যের আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। আগে আপেল আমদানিতে প্রতি কেজিতে ট্যাক্স ছিল ৬১ দশমিক ৬৫ টাকা। চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮৯ দশমিক ২২ টাকায়। তাদের মতে, এই অতিরিক্ত শুল্ক হারের কারণে আমদানি কমেছে।

চলতি অর্থ বছরে মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত ৪ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ২৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে এখনও।

এ ব্যাপারে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে বড় ধ্বসের কারণ হলো কাস্টমস হাউসে ডকুমেন্ট সাবমিটের পর অতিরিক্ত হয়রানির কারনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি হয়েছে মূলত উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায়। বিশেষ করে মোটর গাড়ি ও মোটর পার্টস থেকে দুইশ’ এক কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।

/এএস /এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply