রাতের আলোতে ওয়াংখেড়ে নেটে শাণিত হতে গ্লাভস পরে ব্যাট হাতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন ভিরাট কোহলি। পানি খেয়ে গলা ভিজিয়ে নেট সেশনের শুরুটা দারুণভাবে করেন। প্রতিটা শটেই হচ্ছিলো ভালো টাইমিং। নেটে ভিরাট এতোটাই সিরিয়াস থাকেন যে, সেখানে তার ব্যাটিং দেখলে পাবেন ম্যাচের আনন্দ। তাই হয়তো নিজে ব্যাটিং না করে কোচ রাহুল দ্রাভিড়ের সাথে ভিরাটের নেট সেশনে চোখ রাখছিলেন রোহিত শর্মা।
কিন্তু কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজাদের ভালোভাবে মোকাবেলা করলেও বাঁহাতি এক নেট বোলার বেশ ভুগিয়েছেন ভিরাটকে। রীতিমতো দুই দফা ভিরাটকে আউট করেছেন এই বোলার। নিজের পারফরম্যান্সে মোটেও খুশি ছিলেন না কোহলি। আধা ঘন্টার মতো ব্যাটিং করে ড্রেসিং রুমে যাওয়ার কথা থাকলেও যাননি। বসে ছিলেন মাঠেই। সতীর্থ ঈশান কিষাণের সাথে খুনসুটি করে অপেক্ষা করেছেন নেট ফাঁকা হওয়ার। প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মোহাম্মদ সিরাজের নেট সেশন শেষ হলে আবারও ব্যাট নিয়ে নেমে পড়েন ভিরাট।
এবার ব্যাটিং কোচ ভিক্রম রাঠোড় আর দুই থ্রোয়ারের একের পর এক বল মোকাবেলা করলেন কোহলি। যতক্ষণ না তুষ্ট হয়েছেন নিজের ব্যাটিং নিয়ে, ততক্ষণই ব্যাটিং করেছেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কাজের প্রতি এই দৃঢ়টা আর কঠোর পরিশ্রমই ভিরাটকে বসিয়েছে ‘কিং কোহলি’র মসনদে। ভিরাটকে দেখে বাংলাদেশি ব্যাটাররাও নিতে পারেন শিক্ষা– কীভাবে প্রস্তুত হতে হয় বিগ ম্যাচে।
/এএম
Leave a reply