বাংলাদেশে রেলের ১৫৮তম জন্মদিন আজ। রেল ভ্রমণ আরামদায়ক এবং উপভোগ্য হওয়ায় যাতায়াতের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ট্রেন। ইংল্যান্ডে ১৮২৫ সালে রেলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে রেলযাত্রা শুরু হতে আরও সময় লেগেছিল ১৯ বছর।
এই বাংলায় প্রথম রেল চালু হয়েছিল ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর। দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। আর এজন্যই কুষ্টিয়ার ‘জগতি’ হলো বাংলাদেশের প্রথম রেলস্টেশন।
ট্রেন শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফরাসি শব্দ ‘ট্রাহিনার’ থেকে। শুরুর দিকে ঘোড়ায় টানা হতো ট্রেন। পরবর্তী সময়ে ইঞ্জিনের ব্যবহার শুরু হয়। পরে রেললাইন স্থাপন করার মাধ্যমে রেলগাড়ি বর্তমান রূপ পায়।
ঊনবিংশ শতকের প্রথম থেকে প্রায় সব ধরনের রেলগাড়ি চলতো বাষ্পীয় ইঞ্জিনে। ১৯২০ সালের প্রথম ভাগ থেকে শুরু হয় ডিজেল ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ব্যবহার। ১৯৭০-এর দশক নাগাদ প্রায় সব দেশেই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের ব্যবহার উঠে যায়।
কালের পরিক্রমায় ব্রিটিশ ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে, ইস্ট পাকিস্তান রেলওয়ে এবং অবশেষে বাংলাদেশ রেলওয়েতে পরিণত হয়। রেলওয়ে বোর্ড ভেঙে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতায় রেলওয়ে বিভাগ ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর তখন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে পূর্বাঞ্চল (চট্টগ্রাম) ও পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী) দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ভেঙে পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
এএস/এমএইচ/
Leave a reply