টাঙ্গাইলে আ.লীগের টিকেট প্রার্থীদের ছড়াছড়ি, নীরব বিএনপি

|

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে টাঙ্গাইলে নৌকার টিকেট প্রত্যাশীদের ছড়াছড়ি। ৮ আসনের চারটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌঁড়ে আছেন ডজন খানেক নেতা। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সভা-সমাবেশের পাশাপাশি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে ভোটের মাঠে নীরব রয়েছে বিএনপি। তাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে একদফা আন্দোলন বাদে অন্য কিছুই ভাবছে না দলটি। অবশ্য সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় পার্টি।

১২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত টাঙ্গাইলে সংসদীয় আসন আটটি। প্রায় ১৫ বছর ধরে সব আসনই দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাই বর্তমান এমপিদের পাশাপাশি নতুন প্রার্থীদের ছড়াছড়ি।

মধুপুর ও ধনবাড়ী নিয়ে গঠিত টাঙ্গাইল-১ আসন। বর্তমান এমপি ও কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক ছাড়াও নৌকার টিকেট পেতে মাঠে রয়েছেন আরও কয়েকজন। এ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি আমার সমস্ত আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করেছি। এলাকাবাসীর সমস্ত আশা পূরণ না করতে পারলেও, আমার আন্তরিকতাকে তারা সম্মান করে। তাই আমার প্রত্যাশা তারা আবারও আমাকে ভোট দেবে।

টাঙ্গাইল-২ আসনে রয়েছে গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলা। আলোচিত প্রার্থী ছোট মনির ছাড়াও এই আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাও কম নয়। অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সংসদ সদস্যের সাথে তৃণমূলের দূরত্ব থাকলেও, দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তারই পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

ঘাটাইল উপজেলা নিয়ে গঠিত টাঙ্গাইল-৩ আসনেও নৌকার প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। বর্তমান এমপি ও তার ছেলেসহ মনোনয়ন দৌঁড়ে আছেন বেশ কয়েকজন। এ নিয়ে এমপি আতাউর রহমান খান বলেন, নেত্রী শেখ হাসিনা কাকে মনোনয়ন দেবেন সেটি তার ওপর নির্ভর করছে।

টাঙ্গাইল-৪ আসন কালিহাতী উপজেলায় তেমন হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। তাই এই আসনে প্রবীণ-নবীন বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন নৌকার টিকেটের আশায়। তারা দলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে। এমপি হাছান ইমাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা যা চেয়েছি, তিনি তা সঙ্গে সঙ্গে করে দিয়েছেন। কালিহাতীতে এখন আর কোনো বাঁশের সাঁকো নেই, সব ব্রিজ হয়ে গেছে। এখানে কোনো কাঁচা রাস্তাও নেই।

এদিকে, ভোটের মাঠে নীরব রয়েছে বিএনপি। দলটির নেতাদের বক্তব্য, এক দফা আন্দোলন বাদে এই মুহূর্তে অন্য কিছুই ভাবছে না দলটি। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে, সব আসনেই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত তারা।

এ নিয়ে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ জন্য নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি।

এদিকে, সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রস্তুত জাতীয় পার্টি। দলের হাইকমান্ডের সাথে লবিংয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিয়াকত আলী বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা এরই মধ্যে আমাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আমি সেভাবেই সব প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অবশ্য নির্বাচনের ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নন জামায়াত নেতারা। প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান তারা।

জেলার চারটি আসনে মোট ভোটার ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৩ জন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং অস্থিরতা মুক্ত ভোটের পরিবেশ চাইছেন সাধারণ ভোটাররা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply