আইফোন প্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চলতি বছর অ্যাপল তাদের ফ্ল্যাগশিপ পণ্য আইফোনের ১৫ সিরিজ বাজারে নিয়ে আসে। কিন্তু নতুন মডেলের ফোনগুলো অতিরিক্ত গরম হচ্ছে বলে অনেক ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করে। সেই সাথে আইফোন ব্যবহারকারীদের অভিযোগ স্বীকারও করেছে অ্যাপল। মোট কথা, আইফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপলের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন নিয়ে হতাশ। তবে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আসন্ন ‘আইফোন-১৬’এ নিয়ে আসছে কিছু দুর্দান্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংযুক্ত ফিচার। মূলত, ৩টি এআই ফিচার যুক্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কয়েক বছর ধরে আরেক টেক জায়ান্ট ‘গুগল’ তাদের পিক্সেল সিরিজ ফোনগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচার ব্যবহার করছে। সম্প্রতি পিক্সেল-৮ ও পিক্সেল-৮ প্রো মডেলের স্মার্টফোনগুলোতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে গুগল। গুগলের তুলনায় অ্যাপল খুব একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচার আইফোনের ১৫ সিরিজে ব্যবহার করেনি। ফলে বাজারে পিক্সেল-৮’র সাথে প্রতিযোগিতায় অনেকটা পিছিয়ে অ্যাপেল। তবে আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আশার কথা, ‘আইফোন-১৬’ মডেলগুলোতে আসতে যাচ্ছে ৩টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ফিচার।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে মার্ক গুরম্যান ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, অ্যাপল সম্ভবত ‘আইফোন-১৬’এ হার্ডওয়্যার, আইওএস’র পরবর্তী সংস্করণ বা উভয়ের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচার সংযুক্ত করা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৪ ‘আইফোন-১৬’এ সিরিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে অ্যাপেল। জেনারেটিভ এআই স্মার্ট সংস্করণ শীঘ্রই সিরিতে যুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সফটওয়্যার অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রেগ ফেদেরেগির নেতৃত্বে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের একটি দল সিরিতে জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করা শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, অ্যাপল এআই খাতে বার্ষিক ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
যে ৩টি প্রধান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফিচার থাকবে ‘আইফোন-১৬’এ:
১. স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি অ্যাপল মিউজিক প্লেলিস্ট।
২. পেজ অ্যাপে বা কীনোটে লিখতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্লাইড ডেক তৈরি করতে সাহায্য করবে এআই।
৩. ম্যাসেজ অ্যাপ ও সিরির ক্ষেত্রে প্রশ্ন এবং স্বয়ংক্রিয় বাক্য সম্পূর্ণ করার উন্নত ক্ষমতা থাকবে।
কিন্তু অ্যাপলের প্রস্তাবিত এই ফিচারগুলো, বর্তমানে গুগলের ‘পিক্সেল’ সিরিজ মডেলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো ব্যাপক বা শক্তিশালী নয়। উদাহরণস্বরূপ, ‘গুগল পিক্সেল’ গ্রাহকদের যেকোন নিউজ আর্টিকেল খুব দ্রুত সারাংশে রুপান্তর করে দেয়। ছবি ফটোশপের মত কাজ সম্পাদনা করা যায় শুধুমাত্র আঙ্গুলের ছোঁয়া দিয়ে।
গ্রাহক হিসেবে আপনি সেই বৈশিষ্ট্যগুলি পছন্দ করেন কিংবা না করেন, কিন্তু অ্যাপল বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ফিচারগুলো নিয়ে কাজ করছে, নিঃসন্দেহে সেই দিক থেকে গুগল অনেক এগিয়ে।
/এআই
Leave a reply