চলছে রান্নার বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে কোনো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নয়। এই আয়োজন ইসরায়েলি আগ্রাসনে সর্বস্ব হারানো গাজার মানুষদের জন্য। আর এর উদ্যোক্তা মৃত্যুপুরী গাজারই দক্ষিণ দিকের বাসিন্দারা। যেখানে সহিংসতার মাত্রা এখনও খানিকটা কম।
প্রতিদিন রান্না করা হয় প্রায় তিন হাজার মানুষের খাবার। চাল-মাংস মিলিয়ে তৈরি হয় মধ্যপ্রাচ্যের উপাদেয় খাবার ‘খাবসা’। যা বিলি করা হবে, ভিটেমাটি ছেড়ে আসা উত্তর গাজার মানুষদের মাঝে।
আবু মোহাম্মাদ বলেন, উত্তর গাজা থেকে এতোটা পথ পায়ে হেঁটে আসেন বিপুল মানুষ। তাদের কাছে না আছে পানি, না আছে খাবার। কতোদিন ধরে না খেয়ে আছে, কে জানে? এদের জন্যই মূলত রান্না করি। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মানুষকে খাওয়াই আমরা।
গ্যাস বা জ্বালানি না থাকায় লাকড়ির চুলায় চলে রান্না। তবে ফুরিয়ে আসছে লাকড়ির যোগান। শেষ হওয়ার পথে চাল, মাংস, তেল-লবণসহ অন্যান্য উপকরণও। তাই অসহায় মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণের এ উদ্যোগ আর কতদিন চলবে, তা নিয়ে সন্দিহান উদ্যোক্তারা।
এ প্রসঙ্গে আবু মোহাম্মাদ বলেন, বড়জোর আর দুতিন দিনের যোগান আছে আমাদের কাছে। এরপর বন্ধ করে দিতে হবে রান্নাঘর।
এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে পুরো গাজাই যেন ধ্বংসস্তূপ। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই উপত্যকার কোথাও। শ্বাসরুদ্ধকর এ পরিস্থিতিতে নিশ্চয়তা নেই নিজেদেরই অন্ন-বস্ত্রের, তবু অন্যের খাবারের ব্যবস্থা করে তৃপ্তি খুঁজছেন এই মানুষগুলো।
/এএম
Leave a reply