নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, প্রচারণার কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউই প্রচারে অংশ নিতে পারবে না। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, তফসিলের পর কাউকে উৎসব বা প্রতীকের পক্ষে প্রচার করতে দেখা যায়নি।
ইসি সচিব আরও বলেন, এখন থেকে প্রশাসনের রদবদলে ইসির অনুমতি লাগবে। কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানোর বিষষে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া।
এর আগে, ভোটের দিন সকালে ব্যালট পাঠানোর কথা জানিয়েছিল কমিশন। তবে এতে আপত্তি জানিয়ে আগের দিন ব্যালট পাঠানোর অনুরোধ জানায় পুলিশ কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি তার বক্তব্যে সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকার বিষয়টিও এ সময় উল্লেখ করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ এ বছরের ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি চলবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এরপরই শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা, যা চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ। আর ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। মোট ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন।
/এমএন
Leave a reply