জাহিদ হাসান:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার আসনগুলোতে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, দেশে ভোটের পরিবেশ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় হলেই নির্বাচনে যাবেন তারা। অবশ্য সবগুলো আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি।
নগরীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা বটিয়াঘাটা ও দোকোপ উপজেলা নিয়ে খুলনা-১ আসন। আওয়ামী লীগ শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতা। তালিকায় রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, সাবেক সংসদ সদস্য ননীগোপাল মন্ডল, সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, শেখ সোহেলসহ আরও কয়েকজন।
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না বিএনপি। দল নির্বাচনে অংশ নিলে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন জেলা শাখার আহ্বায়ক আমির এজাজ খান। আর জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়।
সিটি করপোরেশনের ১৬ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে খুলনা- ২ আসন। এখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এবারও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপি নির্বাচনে এলে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও শফিকুল আলম তুহিন। আর জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মহানন্দ সরকার ও অ্যাডভোকেট অচিন্ত্য কুমার দাস।
নগরীর ১ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ও দিঘলিয়ার দুইটি ইউনিয়ন নিয়ে খুলনা-৩ আসন। বর্তমান সংসদ সদস্য ও শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন এস এম কামাল হোসেন, শেখ সৈয়দ আলী ও শেখ ফারুক হাসান হিটলু। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়ন চাইতে পারেন গতবারের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম। জাতীয় পার্টি থেকে নাম শোনা যাচ্ছে আব্দুল্লাহ আল মামুনের। সবগুলো আসন এবারও ধরে রাখতে শতভাগ আশাবাদী আওয়ামী লীগ। যেকোনো নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজপথে থাকার কথা জানান দলটির নেতারা।
এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর মতো ক্ষমতা বিএনপির নেই। তারা বিদেশিদের ধরে কতটুকু কী করতে পারবে জানি না তবে নির্বাচন সময় মতোই হবে। তবে সব দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এমনটাই চাওয়া তার।
জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান তারা। খুলনায় যে ছয়টি আসন আছে এসবের জন্য প্রার্থীসমূহের একটি তালিকা করে দলের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই নেতা।
অপরদিকে, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে চাইলে আওয়ামী লীগকে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। কারণ তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকেই ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এএস/
Leave a reply