ওয়ানডে ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুল ও ভিরাট কোহলির জোড়া ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৪১ রান।
রোববার (১৯ নভেম্বর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন রোহিত শর্মা। তবে ভারতের অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে পারেননি শুভমান গিল। মিচেল স্টার্কের শর্ট অব লেন্থ ডেলিভারিতে সামনের পায়ের উপর ভর করে পুল করতে গিয়ে অ্যাডাম জাম্পার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। গিলের ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান। দলীয় ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
গিল ফিরে গেলেও রোহিত শার্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কোহলির হ্যাটট্রিক বাউন্ডারিতে সপ্তম ওভারেই পঞ্চাশ পূর্ণ করে ভারত। ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে প্রথমবার আক্রমণে স্পিনার হিসেবে ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে আসেন প্যাট কামিন্স।
প্রথম ওভারে সাফল্য না পেলেও নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট এনে দেন ম্যাক্সওয়েল। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের পরের ওভারে টানা দুই বলে ছক্কা এবং চার মারেন রোহিত। পরের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে আবারও উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ফিরে যেতে হয় হেডের দুর্দান্ত ক্যাচে। দারুণ ব্যাটিং করা রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ বলে ৪৭ রান।
চার নম্বরে নেমে দ্রুতই ফিরে গেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শ্রেয়াস আইয়ার। কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে জশ ইংলিসের ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন ৪ রান করে। মাত্র ৫ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারানোর পর থেমে যায় ভারতের রান তোলার গতি।
এরপর সাবধানী ব্যাটিংয়ে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রাহুল এবং কোহলি। বাউন্ডারি না পেলেও নিয়মিত সিঙ্গেল নিতে থাকেন তারা দু’জন। স্রোতের বিপরীতে ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ‘কিং’ কোহলি। এদিকে ৯৭ বল পর বাউন্ডারির দেখা পেয়েছে ভারত। হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেন কোহলি। ৬৩ বলে ৫৪ রান করা কোহলিকে থামান কামিন্স। তাকে বোল্ড করেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এরপর রাহুলকে সঙ্গ দিতে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে এই জুটিকে থিতু হতে দেননি জশ হ্যাজেলউড। ৯ রান করা জাদেজাকে তিনি উইকেটের পেছনে জশ ইংলিসের ক্যাচ বানিয়েছেন।
রাহুল হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ৬৬ রান করে ফেরেন। তাকে আউট করেন স্টার্ক। এই অজি পেসারের গুড লেন্থের বলে রিভার্স শট খেলতে গিয়ে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এরপর মোহাম্মদ শামিকেও আউট করেন স্টার্ক। খানিক বাদে অ্যাডাম জাম্পার শিকার হয়ে জসপ্রিত বুমরাহ এলবিডব্লিউ হলে ভারতের ইনিংস আর বেশিদূর এগোতে পারেনি। ভারতের শেষ ভরসা সুরিয়া কুমার যাদব আউট হন মাত্র ১৮ রান করে। ফলে আড়াইশ রানের কোটা পার হতে পারেনি ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক। দু’টি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট শিকার করেন অ্যাডাম জাম্পা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
/আরআইএম
Leave a reply