গত বছরটা মেসির ক্যারিয়ারের পূর্ণতার বছর। আর্জেন্টাইন তারকার ভরি ভরি অর্জন থাকলেও শুধুই অপূর্ণ ছিল বিশ্বকাপ ট্রফি। মেসি নিজেই আগে বলেছিলেন, এতো এতো অর্জন থাকলেও আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ রয়ে গেছে তার। অবশেষে কাতারে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা উচিয়ে ধরেন ‘এলএম টেন’। হাতে ওঠে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।
ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে থ্রিলার ম্যাচে টাইব্রেকারে জয় পায় আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন গোট মেসি। এবার তার সেই ম্যাচের জার্সিটি নিলামে তোলা হচ্ছে। শুধু ফাইনালের জার্সিই নয়, কাতার বিশ্বকাপে মেসির গায়ে দেয়া ৬টি জার্সি নিলামে তোলা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে নিলাম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জার্সি বিক্রির অর্থের একটি অংশ চ্যারিটি ফান্ডে অনুদান হিসেবে দেয়া হবে।
গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব, মেক্সিকো, দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে জার্সিগুলো পরেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
বিশ্বের অন্যতম বড় চিত্রকলা, অলংকার ও সংগ্রহে রাখার মতো অন্যান্য জিনিসের ব্রোকার হাউজ সোথেবি মেসির জার্সি নিলামের তথ্যটি জানিয়েছে। সোথেবির কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সব মিলিয়ে জার্সিগুলোর দাম তারা ১০ মিলিয়ন (এক কোটি) ডলার আশা করছে বলে সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোথেবি জানিয়েছে, মেসির জার্সির দাম এক কোটি ডলার পেরিয়ে গেলে খেলাধুলার স্মারক নিলামে তোলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়বে। কোনো খেলোয়াড়ের জার্সি নিলামে সর্বোচ্চ দামের বিক্রির রেকর্ডটি বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের। ১৯৯৮ সালে এনবিএ’র চূড়ান্ত পর্যায়ে জর্ডান যে জার্সি পরেছিলেন, সেটি নিলামে এক কোটি এক লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আর ফুটবলে ডিয়াগো ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ জার্সি নিলামে গত বছর বিক্রি হয়েছে ৯ মিলিয়ন ডলারে।
/এনকে
Leave a reply