শুক্রবার সকাল থেকে শুরু ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি

|

তেল আবিবে ইউনিসেফ সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ করছে অপহৃতদের স্বজনরা। যুদ্ধবিরতিতে তাদের আশার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে।

নানা নাটকীয়তা আর দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে নির্ধারিত হয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতির সময়। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় উপত্যকায় কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স।

মধ্যস্ততাকারী দেশটি জানায়, হামাস ও ইসরায়েলের সাথে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ গাজার দুই অংশেই কার্যকর হবে এই যুদ্ধবিরতি। বন্দি মুক্তি শুরু হবে বিকেল ৪টা থেকে। প্রাথমিকভাবে ১৩ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। বন্দিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাাতিক সংস্থা রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হবে তাদের। অস্ত্রবিরতি কার্যকরের পর যত দ্রুত সম্ভব রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, মিসরকে সাথে নিয়ে দোহাতে উপস্থিত দু’পক্ষের সাথে বেশ ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন করতে এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে প্রস্তুত আমরা। আমাদের লক্ষ্য, দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এই চুক্তির ইতি ঘটানো। আশা করছি, বর্তমান চুক্তি সহিংসতা পুরোপুরি বন্ধে আলোচনার পথ তৈরি করে দেবে।

এর আগে, বুধবার (২২ নভেম্বর) কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় ৪ দিনের বিরতির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের পার্লামেন্ট। শর্ত অনুযায়ী ৫০ জিম্মির বিনিময়ে মুক্তি পাবেন ৩০০ ফিলিস্তিনি।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply