ঢাকা ১৯ ও ২০ আসনে শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ, মাঠে নেই বিএনপি

|

মাহফুজুর রহমান নিপু:

ঢাকা জেলার উত্তরে দুইটি আসন ঢাকা ১৯ ও ঢাকা ২০। অর্থনৈতিক বিবেচনায় বেশ গুরুত্ব বহন করে আসন দুটি। তাই সব দলেরই এই আসন দুটিতে প্রার্থী নির্বাচনে বাড়তি সর্তকতা থাকে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আসন দুটিতে আওয়ামী লীগের শিবিরে উৎসব থাকলেও মাঠে নেই বিএনপি। তবে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছে জাতীয় পার্টি।

শিল্পাঞ্চল সাভারের একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১৯ আসন গঠিত। এই আসনে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ অন্তত ৬ জন এবার নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি। জয়ী হওয়ায় আশাবাদী সবাই।

প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, প্রার্থীতা চাওয়াটা হলো গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে পেরেছি।

আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন জানান, আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার চেয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ড ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শতভাগ শ্রদ্ধাশীল।

অন্যদিকে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যতি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে বিএনপির যেকোনো প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জয় নিয়ে আসা আমার পক্ষে সম্ভব।

এদিকে, ঢাকার ধামরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা-২০ আসন। এখানেও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক।

মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আহম্মদ আল জামান বলেন, সাধারণ সদস্য হয়েও যে দলকে সংগঠিত করা যায়, তা আমার কর্মীদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে।

মনোনয়ন দেয়া ও জয়ী হওয়ার ব্যপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন ধামরাইয়ের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক। অন্যদিকে মনোনয়ন দিলে সকলে একসাথে কাজ করবে জানিয়ে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম কবির বলেন, এখন যে যার মতো করে ভোট চাইছে। তবে মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে সকলে দলের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

অপরদিকে, ঢাকা-১৯ ও ২০ আসনে জাতীয় পার্টির ৪ জন আছেন আলোচনায়। কেন্দ্রের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টি শতভাগ প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

আসন দুটিতে আলোচনায় আছেন বিএনপির ৩ জন। যদিও মাঠে নেই কেউ। নেতারা বলছেন সবার আগে লক্ষ্য, এক দফা বাস্তবায়ন। ঢাকার সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, ঢাকা জেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গসংগঠন আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত এ দেশে একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন না হবে এবং খালেদা জিয়া মুক্তি না পাবেন, ততদিন পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

ঢাকা ১৯ আসনে মোট ভোটার ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯১ জন, ঢাকা ২০ আসনে ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫২ জন। ভোট নিয়ে ভাবছেন এসব সাধারণ মানুষও। তাদের চাওয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সৎ ও যোগ্য প্রার্থী।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply