চ্যাম্পিয়নস লিগে আগের দুই আসরে গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা! সেই হতাশা মোছার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে দুই পর্তুগিজের হাত ধরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল কাতালান ক্লাবটি। কষ্টের জয়ে দুই আসর পর ইউরোপ সেরার মঞ্চে নকআউট পর্বে উঠলো জাভি হার্নান্দেজের দল।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে পোর্তোকে আতিথ্য দেয় বার্সেলোনা। জিতলেই বার্সেলোনার জন্য নিশ্চিত ছিল নকআউট। এমন সমীকরণের ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানায় ফেলিক্স-রাফিনহারা। ম্যাচের ৫ মিনিটে ফেলিক্সের শট যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। এর একটু পর বক্সের বাইরে থেকে রাফিনহার নিচু জোরালো শট বলের লাইনে থাকায় আটকে দেন পোর্তো গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা।
আক্রমণাত্মক ফুটবলের ম্যাচে ৩০ মিনিটে অবশ্য ভুল করেনি পোর্তো। পেপে আকুইনোর গোলে লিড নেয় পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়নরা। পিছিয়ে পরে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি বার্সাও। ২ মিনিট পর দর্শনীয় এক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান জোয়াও ক্যানসেলো। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা বের করে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগিজ তারকা। ১-১ গোলের সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় কাতালান ক্লাবটি।
বিরতির পরপর হোয়াও ফেলিক্সের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট বার কাঁপিয়ে বাইরে চলে যায়। বার্সা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলে পোর্তোর চেষ্টা ছিল প্রতি-আক্রমণ ও লম্বা পাসে বার্সাকে চমকে দিতে। বিশেষ করে ৫০ মিনিটের পর টানা কয়েকটি পাল্টা আক্রমণ শানায় পোর্তো। কিন্তু আক্রমণগুলো শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। বারবার অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে ভুল করে সফরকারীরা।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ফেলিক্সের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। কানসেলোকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নেন তিনি। স্বদেশির কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে নিখুঁত শটে বার্সা সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারতো স্বাগতিকরা। থ্রু পাস ধরে অনেকটা এগিয়ে রাফিনিয়ার নেয়া শট আটকান কস্তা, তোরেসের ফিরতি শট যায় বাইরে।
ম্যাচের শেষের দিকে দৃষ্টিনন্দন গোল পেতে পারতেন রাফিনহা। কিন্তু ইলকাই গুন্দোগানের বাড়ানো বলে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ওভারহেড কিক আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি কস্তা। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও এই ব্যবধান মেটাতে পারেনি পোর্তো।
/আরআইএম
Leave a reply