স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
২০১১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে জিতে মেয়র হয়েছিলেন মাওলানা আব্দুল মতিন। বিএনপির এই নেতা সেসময় দলীয় সমর্থন নিয়েই মেয়র হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পদত্যাগ করেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। দলটির প্রার্থী হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলও করেছেন।
জানা যায়, কিছুদিন আগেও বিএনপির এই নেতা দলের সাথে মাঠে থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। এরপর বিএনএম থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ সময় বিএনএম’র কোনো নেতাকর্মীকে তার সাথে দেখা যায়নি। তবে তার কয়েকজন সমর্থক সঙ্গে ছিলেন।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে মাওলানা আব্দুল মতিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে সরকারকে হঁটানো যায়নি। প্রকাশ্যে কোনো নেতা কথা বলতে পারছে না। বিএনপি এখানে তিনভাগে বিভক্ত। বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে নেই। বেশিরভাগ নেতাই আত্মগোপনে রয়েছে। এই দুঃসময়ে কর্মীরা তাদের নেতাদের পাশে পাচ্ছে না। তাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগণের নায্য দাবিগুলো তুলে ধরতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার জন্য বিএনপির কোনো নেতাকে খুঁজে পাইনি। আমি দুর্নীতিবাজ নই, মানুষ মারার রাজনীতিও করি না। যেখানে আমার চিন্তার অবমূল্যায়ন সেখানে না থাকাই শ্রেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দল ও দলের বাইরের কিছু নেতাদের প্রলোভন দেখাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে না। যারা ফাঁদে পড়ছে তারা নীতি-আদর্শহীন নেতা। তাদেরকে জনগণই প্রতিহত করবে।
এনকে/এটিএম
Leave a reply